গাজীপুরের টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এক নারীসহ দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টঙ্গীর সুরতরঙ্গ রোড, খরতৈল ও গুশুলিয়া এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে। নিহতরা হচ্ছে-ফেনী জেলার ওবায়দুল হকের ছেলে ছায়েদুল হক জুয়েল (৩২), নেত্রকোনা জেলার জয়ধর খাঁর ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৭) ও গুশুলিয়া এলাকার দেলোয়ারের মেয়ে রহিমা আক্তার (২৬)।
পুলিশ জানায়, ছায়েদুল হক জুয়েল তার স্ত্রী নুপুরসহ সুরতরঙ্গ রোডের আবদুস সালামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তিনি পেশায় একজন বাবুর্চি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় বাড়ির মালিক আবদুস সালাম ও আশপাশের লোকজন এসে তাদের ঝগড়া সমাধান করে চলে যান। এরপর রাত ২টার দিকে নুপুর আবারও বাড়ির মালিককে ডেকে আনেন। পরে তারা ঘরের ভেতর ফ্যানের সাথে ছায়েদুলের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এদিকে খরতৈল এলাকার ভিয়েলাটেক্স পোশাক কারখানার পাশের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রফিকুল ইসলাম। তিনি ও তার স্ত্রী দুজনেই চাকরি করতেন পোশাক কারখানায়। এর মধ্যে রফিকুল ইসলামের চাকুরি চলে যায়। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরেন তার স্ত্রী খাদিজা বেগম। এ সময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালা দিয়ে দেখতে পান রফিকুলের লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলছে। পরে আশপাশের লোকজন এসে কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে পুলিশে খবর দেয়।
অপরদিকে গুশুলিয়া এলাকা থেকে রহিমা আক্তার নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রহিমা তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তার মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঘুমাতে যান। পরে সকালে তার স্বজনরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন রহিমার লাশ ফ্যানের সাথে ঝুলছেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পৃথক তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।