রাজশাহীর দুর্গাপুরে যৌন রোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে কবিরাজের বাড়ীতে স্বপন (২২) নামের এক নব বিবাহিত যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহত স্বপন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার দাসগ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। বৃহস্পতিবার নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকেলে উপজেলার হাট কানপাড়া এলাকার বাজুখলশী গ্রামে কথিত কবিরাজ নাসির আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনাটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
কথিত কবিরাজ নাসির আলী জানান, গত ৭ নভেম্বর স্বপন তার বাড়িতে থেকে যৌন সমস্যার চিকিৎসা নিতে আসে। বুধবার দুপুরের খাবার খেতে স্বপনকে খোঁজাখুঁজি করেন তিনি। বিকাল ৪ টার দিকে বাড়ির একটি কক্ষে স্বপনকে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শমসের আলীকে জানালে তিনি থানায় খবর দেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, স্বপন প্রায় দেড় মাস আগে স্ত্রীসহ চিকিৎসা নিতে কবিরাজের বাড়িতে যায়। প্রায় এক মাস কথিত কবিরাজের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে সে। এরপর গত ৭ নভেম্বর পুনরায় একা চিকিৎসা নিতে নাসিরের বাড়িতে যায় স্বপন। কথিত কবিরাজ নাসির স্বপনের কাছ কাছ থেকে চিকিৎসার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আবারও নাসিরউদ্দিন তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিল বলে তারা জানান।
কবিরাজের একাধিক প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নাসির বিনা টাকায় চিকিৎসা দিবেন এমন কথা থাকলেও পরে বারবার টাকা দাবি করায় ওই যুবকের সাথে নাসিরের বাকবিতন্ডা হয়। টাকা না পেয়ে নাসির বিতন্ডার একপর্যায়ে স্বপনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের ভিতরে গলায় রশি পেঁচিয়ে দিয়ে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে বলে তাদের ধারণা। সঠিক তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে। এর আগেও নাসিরের বাড়িতে চিকিৎসা নিতে এসে একাধিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবদুর রহিম বলেন, এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। ঘটনাটি যেহেতু দূর্গাপুরের তাই নিহতের স্বজনরা সেখানে অভিযোগ করতে পারবেন।
দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ খুরশিদা বানু কণা জানান, নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্বজনরা লিখিত অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।