বাংলাদেশ টেক্সেস বারের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা এডভোকেট আবদুল গফুর মজুমদারের জানাযা ও লাশ দাফনে শুক্রবার সকালে বাধা দিয়েছে এক পাওনাদার। বাধার মুখে নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের এ আর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জানাযা ভুন্ডুৃল হয়ে যায়। এদিকে তার নিজ বাড়ী নাঙ্গলকোট পৌরসভার বেতাগাঁও গ্রামে তার লাশবাহী গাড়ী পাওনাদার ও তার লোকজন অবরুদ্ধ করে রাখায় ওই জানাযাও বিলম্ভিত হয়। পরে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু ও পৌর মেয়র আব্দুল মালেকের মধ্যস্থতায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা একই গ্রামের জামাল উদ্দিন মজুমদার দায়িত্ব নিলে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর নিজ বাড়ীতে বেলা ১২টায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল গফুর মজুমদার বেতাগাঁও গ্রামের মৃত মাস্টার আইউব আলীর ছেলে ব্যবসায়ী নেছার উদ্দিন আহম্মেদ বাবুলের নিকট ২০১১ সালে বেতাগাঁও ও হরিপুর মৌজায় ৪ একর ২৪ শতক জমি ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিক্রি করে ষ্ট্যাম্পে লিখে চেকের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করেন। পরে ১৮৯ শতক সম্পত্তি জমিন কবলা দিয়ে বাকী ২৩৫ শতক সম্পত্তি জমি কবলা দিতে গড়িমশি শুরু করে। এ নিয়ে কয়েক দফা স্থানীয় ভাবে শালীস বৈঠক বসে কিন্তু এডভোকেট আবদুল গফুর মজুমদারের ছেলে শুভ্র’র প্ররোচনায় তিনি ইচ্ছা থাকলে ও বাবুলকে জমিন কবলা দিতে পারেনি। মৃত্যুকালে তিনি ৩ ছেলে ও স্ত্রী রেখে যান। তার ছেলেরা একজন দুবাই, একজন আমেরিকায় এবং শুভ্র দেশে থাকেন। এডভোকেট আবদুল গফুর মজুমদার বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। শুক্রবার সকাল ৭টায় লাশ গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসলে পাওনাদাররা তার লাশ অবরুদ্ধ করে রাখে।