আমি বাঁচতে চাই,দয়া করে আমাকে বাঁচান। এমন আকুতি বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর হাছেন আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী নিশাতের। কিডনি রোগে আক্রান্ত ছোট্ট নিশাতের চোখে মুখে বিষন্নতার ছাপ। সমাজের বিত্তবান মানুষের নিকট আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে বাঁচার আকুল আবেদন জানিয়েছে নিশাত ও তার পরিবার।
জানা গেছে, উপজেলার মেরুরচর গ্রামের হত দরিদ্র সমজদ্দির ছেলে নিশাত (১৩)। পড়াশোনায় বেশ মেধাবী নিশাত পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছিলো। চার ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। গরীব বাবা মায়ের অভাব অনটনের সংসার হলেও পড়াশোনা আর হাসি খুশিতেই সময় কাটছিলো তার। সবার ছোট বলে পরিবারে তার আদর একটু বেশিই ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করেই নিশাতের জীবনে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার। হঠাৎ করে তার শরীরে পানি ধরে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেয়া হয় চিকিৎসকের কাছে। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান নিশাত কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারনেই হাত-পা শরীর ফুলে গেছে। তার দুটি কিডনিই বিকল। অভাব অনটনের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সেখানে নিশাতের চিকিৎসা করা অসম্ভব প্রায়। তবুও দরিদ্র পিতা সমজদ্দি গত ছয় মাসে ধারদেনা করে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যায় করেছেন ছেলের চিকিৎসার জন্য। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছেন ছেলেকে। অর্থাভাবে গত একমাস যাবত চিকিৎসা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে নিশাতের। ফলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। এতে নিশাতের জীবন নিয়েই শঙ্কায় পড়েছে তার পরিবার। সন্তানকে বাঁচাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন অসহায় বাবা দরিদ্র সমজদ্দি।
নিশাতের বড় ভাই ফেরদৌস মিয়া জানান,গত ছয়মাস চিকিৎসায় নিশাতের শারিরীক অবস্থার বেশ উন্নতি হয়েছিলো। নিশাতকে আরো তিন/চার মাস নিয়মিত চেকআপ,পরীক্ষা নিরীক্ষা ও ঔষুধ সেবনসহ উন্নত চিকিৎসা করতে বলেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অর্থাভাবে নিয়মিত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অভাব অনটনের কারণে প্রয়োজনীয় ঔষুধ পর্যন্ত কিনে দিতে পারছিনা চিকিৎসা করবো কিভাবে।
এ ব্যাপারে নিশাতের অসহায় পিতা সমজদ্দি বলেন,ছেলের চিকিৎসার জন্য ধার দেনা করে গত ছয়মাসে প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করেছি। এক টুকরো ভিটেমাটি ছাড়া আমার সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। ছেলের কষ্ট আর সহ্য হয়না। কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিনা। আপনারা আমার ছেলেটাকে বাচাঁন। তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও বিত্তবানদের কাছে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন। (০১৯৪৫৮৫৯৯০৬ বাবা,ভাই-০১৭৪১৯১১৫১০ বিকাশ )।