পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম জনগোষ্ঠীদের সচেতনতার মাধ্যমে নিরাপদ পুষ্টি নিশ্চিত করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় দু’দিনব্যাপি নিউট্রিশন সেনসেটিভ প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ উদ্বোধন কালে প্রধান অতিতির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা একথা বলেন।
উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি (ইউএনসিসি) আয়োজনে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষনা ও প্রশিক্ষণ ইনষ্টিউট (বারটান) প্রশিক্ষণ সহায়তায় লিডারীপ এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (নীল) প্রকল্পের সহযোগীতায় ১৫-১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের পুষ্টি ঝুঁকিতে রয়েছে বিশেষ করে শিশু, কিশোর ও গর্ভবতী নারীরা। তাদের যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত না হওয়াই নতুন প্রজ্জমের পুষ্টিহীনতায় বিভিন্ন রোগাগ্রস্থ্য হতে হচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের গর্ভবর্তী নারীদের পুষ্টি নিশ্চায়নের কুসংস্কারও একটি বড় বাঁধা।
উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, মৈদং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিনী কুমার চাকমা, দুমদুম্যা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সম্মিতা চাকমা, অবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা এম কামরুজ্জামান, জুম ফাউন্ডেশনের উপজেলা সমন্বয়কারী উদ্বাসন চাকমা, স্থানীয় সাংবাদিকসহ প্রাণী সম্পদ, সমাজ সেবা, মহিলা বিষয়ক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, মৎস্য বিভাগের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তারাসহ উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দু’দিনব্যাপি নিউট্রিশন সেনসেটিভ প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্ত।