কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় প্রধানমন্ত্রীর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসা’ নিয়ে চলছে তুঘলকী কান্ড। সাবেক সুপার ও বর্তমান সুপারের দন্দ মিটিয়ে দ্রুত শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক অভিভাবক সহ এলাকাবাসী। ১৫নভেম্বর রোববার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান মাদ্রাসার বর্তমান সুপার মো. শাহানুর আলম। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বেচ্ছাচারী ও জবরদখলকারী আমিনুল ইসলামের শাস্তি ও মাদ্রাসাটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্য সুত্রে জানা যায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালের ৩০জুন স্বেচ্ছায় ইস্তফা প্রদান করেন সাবেক সুপার মো. আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও তিনি ২০০৪ সাল থেকে একই উপজেলার মধ্যকাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভী পদে যোগদান করে বেতনভাতাদি উত্তোলন করে আসছেন। তার ইনডেক্স নং-২০০৬৫৫২৮। ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসাটি জাতীয়করণ ঘোষণা করা হয়। তখন সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন মো. শাহনুর আলম। কিন্তু জাতীয়করণ ঘোষণার পর সাবেক সুপার আমিনুল ইসলাম কিছু দাঙ্গাবাজ লোকজন নিয়ে মাদ্রাসায় ঢুকে জোড়পূর্ব সুপারের চেয়ারে বসে পরেন এবং সমস্ত কাগজপত্র হাতিয়ে নেন।
এনিয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জবরদখলকারী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি রিপোর্ট মহাপরিচালক মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে প্রেরণ করা হলেও কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।