কুড়িগ্রামের রাজারহাটে এক পুলিশ কনষ্টেবলের বাড়িতে ২দিন ধরে কথিত প্রেমিকা অবস্থান করছে।
এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমর গড়ের পাড় মৌজার অমল চন্দ্র রায়ের পুত্র পুলিশ কনস্টেবল আনন্দের বাড়িতে বিয়ের দাবীতে ২দিন ধরে রংপুর সিটির ৩৩ নং ওয়ার্ডের শরেয়ারতল গ্রামের ঝন্টু রায়ের মেয়ে রুপালী রানী(১৫) অবস্থান করছেন। মেয়েটির অবস্থানের সময় পুলিশ কনস্টেবল আনন্দ তার কর্মস্থল লালমনিরহাটে কর্মরত আছে।
রুপালীর অভিযোগ, ৪ বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আনন্দের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। পারিবারিকভাবে ৩লক্ষ টাকা যৌতুকে বিয়ের আলোচনাও হয়। কিন্তু মাঝখানে তাদের দুজনের মধ্যে কথা বন্ধ হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আনন্দ অন্যত্র ১২লাখ টাকার যৌতুক বিনিময়ে বিয়ের আলাপ চুড়ান্ত করে। তাই আমি ১৫নভেম্বর রবিবার স্বেচ্ছায় বিয়ের দাবীতে আনন্দের বাসায় এসেছি। আনন্দ এর আগে আমাকে বিয়ের কথা বলে তিস্তায় তার পিসতাতো বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারিরীক সম্পর্ক করে। আমি বিয়ের কথা বললে টালবাহানা করে আমাকে বিয়ে না করে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। আবার গত ২২শে আগস্টও বিয়ের কথা বলে ফুসলিয়ে তিস্তার মোস্তফিতে আনন্দের তালতো বোনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক করে। শারীরিক সম্পর্ক করার পর আমি আবারোও বিয়ে কথা বললে নানা টালবাহানা করে। এরপর থেকে আমার সাথে দূর্ব্যবহার শুরু করে। আনন্দ আমার সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন টুকু শেষ করে দিয়েছে। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আমার জীবন শেষ করে দিবো বলে জানান আনন্দের পরিবারের সদস্যদের। সাংবাদিকরা আনন্দের বাসায় মেয়েটির সাথে দেখা করতে গেলে আনন্দের পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের সাথে দূর্ব্যবহার করে। মেয়েটির সাথে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়নি। পরে আনন্দের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ সাংবাদিকের নাম শুনেই ফোন কেটে দেয়। এ বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান হক বুলুর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি শুনেছি মেয়েটি আনন্দের বাড়িতে আছে।
১৬নভেম্বর সোমবার রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজু সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স কম। এছাড়া ওই ছেলের সাথে অন্য মেয়ের বিয়ের আর্শীবাদ হয়ে আছে। এ মেয়েটিকে তার অভিভাবকের কাছে পৌচ্ছানোর জন্য আলোচনা চলছে।