নিজের বউকে বোন বানিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সন্তান পরিচলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে বকশীগঞ্জ উপজেলার দুই স্কুল শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল করেছে শিক্ষা বিভাগ। একই সঙ্গে বিগত দিনের উত্তোলিত বেতন-ভাতা ফেরতের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বিপ্লবের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার রবিয়ারচর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমানের ছেলে আশরাফুল আলম বিপ্লব ২০১৬ সালে নিজের বউ নাসরিন আক্তার ও খালাতো বোন শাপলা আক্তারকে সহোদর বোন বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় সরকারি প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরির ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য হিসাবে আশরাফুল আলম নিজেও একই পদে চাকরি নিয়েছেন। তারা তিনজনই কাগজপত্রে বাবা হিসাবে মুক্তিযোদ্ধা শহিদুর রহমানের নাম ব্যবহার করেন। নাসরিন আক্তার বকশীগঞ্জের টুপকারচর, শাপলা আক্তার খেয়ারচর ও আশরাফুল ইসলাম বিপ্লব মাদারেরচর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে তদন্ত শুরু করে শিক্ষা বিভাগ।
এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সন্তান পরিচয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার ও শাপলা আক্তারের নিয়োগ বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষক নির্বাচন কমিটি। এ ছাড়া তাদের যোগদানের সময় থেকে বর্তমান সময় পযন্ত উত্তোলিত বেতন-ভাতা আদায়ের জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।