গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ির মালিকের কন্যা লামিয়া নামে এক স্কুল ছাত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ভাড়াটে দম্পতিকে আটক করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ।
নিহত লামিয়া উপজেলার সুত্রাপুর ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে। সে উত্তর গজারিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থাণীয়রা জানায়, তিনমাস আগে বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের পুত্র সুমন মিয়া (২৭) ও তার স্ত্রী মিলি বেগম (২২) চাকুরীর উদ্দেশ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর গজারিয়া গ্রামের সাহেব আলীর বাড়ির বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে।গত ২/৩দিন আগে বাসাভাড়ার বাকী ৫ হাজার টাকা চাওয়ায় ভাড়াটিয়া সুমনের সাথে বাড়ির মালিক সাহেব আলীর বাক বিতন্ডা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুমন ও তার স্ত্রী মিলি বেগম সাহেব আলীকে হুমকি দেয়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ির মালিকের কন্যা লামিয়াকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে লামিয়াকে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যার পর পাশের খালের পানিতে থাকা স্লাবের নিচে লাশটি চাপা দিয়ে রাখে। মঙ্গলবার রাতে লামিয়া ঘরে না আসলে তার বাবা মা হর্ন্যে হয়ে খুজতে থাকেন। পরিবারের লোকজন লামিয়াকে খুজে না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি কালিয়াকৈর থানায় জানিয়ে খুঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখে। এ সময় সুমনও লাশ খুজার অভিনয় করে লাশের উপর দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক খোঁজার জন্য পরাপমর্শ দেয়। এ ঘটনায় সন্দেহ হলে সুমনের পায়ের কাছে খুজতে গিয়ে তার পায়ের নীচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার সুমন (২৭) ও মিলি (২২) কে আটক করে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলে থানা সুত্র জানায়। এ ঘটনায় নিহত লামিয়ার বাবা সাহেব আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, লামিয়ার লাম উদ্ধার করা হয়েছে, এ ঘটনায় সাহেব আলী বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। অভিযুাক্ত স্বামী-সুমন ও তার স্ত্রী মিলি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।