জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজিবুল ইসলাম রাজুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঠা উদ্ধারসহ ৯ জন কে গ্রেপ্তার। মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলার ফুলদিঘী বাজারে এঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান নাদিমের সমর্থক আতিকুর রহমান ও রাজু সমর্থীত স্বরণ খানের মধ্যে ফুলদিঘী বাজারে কথাকাটির এক পর্যায় ধাক্কা ধাক্কি হয়। এঘটনার জের ধরে ওই রাতেই আলীপুর গ্রামে দু’পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ বাঁধলে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
খবর পেয়ে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ বুধবার (১৮ নভেম্বর) ঘটনাস্থলে তল্লাশী চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঠা উদ্ধারসহ ৯ জন কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, উপজেলার ফুলদিঘী বাজারের আবুল বাশার আশরাফ আলীর ছেলে রাজিবুল ইসলাম রাজু (৩৬), দৌলতপুর গ্রামের হক চিশতীর ছেলে ওলিউজ্জামান খান(৪৮), বানাইচ আলীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল ইসলাম(১৭), একই গ্রামের জমির উদ্দীনের ছেলে আজগর আলী (১৭),খলিলুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান(১৭),সুজাপুর ফৌপড়া গ্রামের আবদুস ছালামের ছেলে মেহেদী হাসান(২৫), আলীপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে আশিকুর রহমান(১৯), একই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আরাম আলী(৩১), বানাইচ গ্রামের আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম এর ছেলে নাফিম তালুকদার(১৮)। এলাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার নাদিম বলেন,সাধারণ ঘটনাকে রাজনৈতিক রুপ দেওয়ার জন্য রাজিবুল ইসলাম রাজু তার লোকজন দিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে।
ক্ষেতলাল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উভয় পক্ষের মামলা প্রকৃয়াধীন।