ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার প্রলোভন দেখিয়ে লালপুরের ওয়ালিয়ায় ডেকে এনে ৪০ বছর বয়সী এক গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে লালপুর থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করে বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে প্রেরণ করেছে।
লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৮ নভেম্বর-২০২০) নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়ায় ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে ৪০ বছর বয়সী এক গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ লালপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এজাহার ভুক্ত ৪ আসামি সহ ৭ জনকে ওয়ালিয়া ফাঁড়ির পুলিশ আটক করে লালপুর থানায় নিয়ে আসে।
আটককৃতরা হলো- লালপুর উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত আনার আলীর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩৬), ওয়ালিয়া সেন্টারপাড়া গ্রামের মৃত সফর সরদারের ছেলে আকমল সরদার (৪৫), ওয়ালিয়া আমিন পাড়া গ্রামের মৃত লালমিয়া সরকারের ছেলে রবিউল ইসলাম সরকার (৪৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃৃত লাল মোহাম্মদ রশিদ সরকারের ছেলে জিল্লুর রহমান (৪২), ওয়ালিয়া বাজার পাড়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের ছেলে জীবন ইসলাম (২৫), ওয়ালিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল মন্ডলের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫) এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ গ্রামের মৃত তৌফিক ফকিরের ছেলে রায়হান ফকির (৩৮)।
এ ঘটনায় ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন সরকার জানান, মঙ্গলবার পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার ধানাইদহ এলাকার (৪০) বছর বয়সী এক গৃহবধুকে তার ছেলের বিয়ের জন্য ওয়ালিয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে পাত্রী দেখার কথা বলে ডেকে আনা হয়। পরে রাতে ওয়ালিয়া গ্রামের আমজাম তলা এলাকায় নির্জন স্থানে পালাক্রমে ১০-১২ জন ব্যক্তি ধর্ষণ করে। পরে নির্যাতিতা মহিলা লালপুর থানায় ৪ সহ অজ্ঞাত আরো ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ওয়ালিয়া ফাঁড়ীর পুলিশ অভিযুক্ত ৭ জনকে আটক করে।
এব্যাপারে লালপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো: সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আকটকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।