মুজিব বর্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য খাস জমি চিহ্নিত করাতে গিয়ে চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা ভুমি অফিসের নাজিব কাম ক্যাশিয়ার বাদী হয়ে চর রাডিজবপুর থানায় অভিযোগা করেছেন।
উপজেলা ভুমি অফিস ও চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস সুত্রে জানান,প্রায় ১ মাস পূর্বে কোদাল কাটি ইউনিয়নের চর সাজাই মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানের ৩১৪১ দাগে ৩.৬১০০ একর ও ৩১৪২ দাগে ০.৮৪০০ একর সহ মোট ৪.৪৫০০ একর জমির উপর সাইনবোর্ড চিহ্নিত করে আসেন। ওই জমির মধ্যে ১.০০একর জমিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ভুমি অফিসের বেশ কয়েকজন খাস জমি থেকে উত্তোলনের মাধ্যমে বালু ভরাটের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ক্ষমতাসীন দলের এক ভুমিদস্য আবু সামা দেওয়ানের নেতৃত্বে এবং উসকানীতে কিছু সংখ্যক নারী ও পুরুষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবীরুল ইসলামের সামনে এসে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং মুজিববর্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য লাগানো সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেন।। ইউএিনওকে কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে জানান, কাজ বন্ধ করেন নতুবা বাস ভবন ঘেরাও করে হলেও জমি উদ্ধার করা হবে।। ইহা সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার সামিল।তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষের অঙ্গিকার বাস্তবায়নে নস্যাৎ করার দুরভিসন্ধি। এ ব্যাপারে নাজিব কাম ক্যাশিয়ার সফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আবু সামা দেওয়ানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে রাজিবপুর থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত আসামি আবু সামা দেওয়ান জানান,ওই দিন যে ঘটনা ঘটেছে তা আমি জানিনা। কারণ আমি বাড়িতে ছিলাম না।রাজিবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ নবীউল হাসান জানান,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত চলছে,মামলা প্রক্রিয়াধীন। চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীরুল ইসলাম জানান,উক্ত মৌজায় ৪.৪৫একর জমির মধ্যে ১.০০ জমিতে মুজিব শতবর্ষে ৪৫টি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারকে পূর্নবাসনে সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা দেওয়া হয়। আবু সামার উস্কানিতে অবৈধ দখলদাররা সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা উপরে ফেলেছে।। তাকে গালাগাল ও হুমকি দিয়েছে।