ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর ব্রাহ্মন্দী গ্রামে পূর্ব শক্রুতার জের ও কার্তিক পূজায় লটারী খেলাকে কেন্দ্র করে অ্যাসিড নিক্ষেপ ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একপক্ষের তিনজন অ্যাসিড দগ্ধ ও অপরপক্ষের ৪ জন মারপিটে গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাতে। স্থানীয় এক মাতুব্বরের কারণে ঘটনাটি ধামাচাপা থাকলে ওপরে তা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা জানান, চর ব্রাহ্মন্দী গ্রামের গোপাল দাসের সাথে প্রতিবেশী সুশান্ত কর্মকারের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। স্থানীয় মালো পাড়া কার্তিক পূজা উপলক্ষে প্রতিমা প্রতিযোগীতা লটারীর আয়োজন করা হয়। লটারীর পুরস্কার জেতা নিয়ে গোপাল দাস ও সুশান্ত কর্মকারের পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে বাসুদের কর্মকারের বাড়ীতে মিমাংসার জন্য দুইপক্ষ উপস্থিত হয়। রাত ১১ টারদিকে শালিসের একপর্যায়ে মারামারিতে সুশান্ত কর্মকারের পরিবারের ৪ জন আহত হয়। পরবর্তীতে গোপাল দাসের পরিবারের উপর এডিস নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের এডিস নিক্ষেপে গোপাল দাস, বাপন দাস ও তপন দাসের মুখমন্ডল ঝলসে যায়। পরে উভয় পক্ষের আহতদের প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অ্যাসিড দগ্ধ তিন জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন এ- প্লাস্টিক সার্জারী ইনষ্টিটিউটে পাঠানো হয়।
গোপাল দাসের মা বাসনা রানী দাস অভিযোগ করে বলেন, রাম কর্মকারের নেতৃত্বে অ্যাসিড নিক্ষেপে আমার পুত্র গোপাল দাস (৩৬), বাপন দাস (২৫) ও আমার দেবরের পুত্র তপন দাসের (২৮) মুখ মন্ডল ঝলসে যায়। বর্তমানে তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এদিকে, সুশান্ত কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিটের ঘটনা ঘটে। মারপিটে আমি, আমার স্ত্রী ও আমার দুই ভাই গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছি। তবে, এসিডের ঘটনাটি কে ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই।
এসিড নিক্ষেপের ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনাটি ধামা চাপা দেবার চেষ্টা চালায়। তারা পুলিশকে ঘটনাটি না জানিয়ে ধামা চাপাদিতে তৎপর থাকে। পরে বুধবার খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশসুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) গাজী রবিউল ইসলাম, সদরপুর থানার ওসি এস এম তুহিন আলী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।