নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের পরীকোট গ্রামের আইয়্যুব আলী বাপের বাড়ির আবদুল মালেক জমিদারের মেয়ে নাছিমা আক্তার প্রকাশ জোসনা (২৬) কে নারী পাচারকারী মোঃ ইদ্রিস মিয়া তার স্ত্রী আফরোজা বেগম মুন্নি ও ছেলে আবদুল্লাহ শাফী সহ জড়িত অণ্যাণ্যদের গ্রেফতার ও তাদের ফাঁসির দাবীতের সেনবাগে পরীকোটে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধ করেছে কয়েকশত নারী-পুরুষ ও গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ও ই মানববন্ধন কর্মসূচি পালতি হয়।
এ ঘটনায় ১৭ নভেম্বর নোয়াখালী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মানব পাচার,প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৭/৯/১০ ও ১১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে পাচারের শিকার নারী নাছিমা আক্তার প্রকাশ জোসনা।
জানাগেছে ,২০০৮ সালে ১৫ জুলাই পরীকোট গ্রামের আবদুল মালেক জমিদারের মেয়ে নাছিমা আক্তার প্রকাশ জোসনাকে ১১ বছর বয়সে তার জেঠি আফরোজা বেগম প্রকাশ মুন্নি (৫০) জেঠা মোঃ ইদ্রিস মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে আদুল্লাহ শাফী(৩০) বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে পাচার করে ফেনী পৌরসভার রামপুর ১৮নং ওয়ার্ডের তাকিয়া রোড়স্থ জয়নাল আবদিনের নিকট ২লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয়। দীর্ঘদিন খোঁজাখুজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পাচারের শিকার ১১ বছরের ওই শিশুটি বর্তমান বয়স ২৬ বছর। পাচারের ১৫ বছর পর শারীর ও যৌন নির্যাতনের শিকার ওই শিশুটি বর্তমানে ২৬ বয়সে যুবতী নারীটি কৌশলে পালিয়ে গত ৭ নভেম্বর সেনবাগে গ্রামের বাড়িতে ফিরে এলে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যেও সৃষ্ঠি হয়। ওই নারী ফিলে এলে পাচারকারীরা প্রথমে বিয়টির ব্যাপারে ভুল স্বীকার ১২ শতাংশ জমিন পাচারের শিকার ওই নারীর নামে লিখে দেওয়া কথা আপস মিমাংসা করলেও পরবর্তীতে তা অস্বীকার করে। এবং ওই নারীর পিতা-মাতা ও স্থানীয় ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করে হয়রানী করছে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আফরোজা বেগম বাড়িতে গেলে তার বসতঘরে তালা বন্ধ অবস্থায় দেখা যায়। অপর অভিযুক্ত মোঃ ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ্ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবী করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ থানার ওসি আবদুল বাতেন মৃধার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এক পক্ষ থেকে ্একটি অভিযোগ পাওয়া কথা স্বীকার করেন। তবে, ওই নারীর পক্ষের কোন অভিযোগ এখনো পাননি বলে জানান। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।