সরাইল পিডিবিতে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করে ইচ্ছেমত কাজ করছেন ঠিকাদার। ময়লাযুক্ত ৩ নম্বর ইটের দায় দিচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলীর উপর। নির্বাহী প্রকৌশলীও তা মেনে নিচ্ছেন। তবে কার্যাদেশের নেই এমন কাজ নিম্নমানের ইটা দিয়ে করার কথা জানিয়েছেন তিনি। লেপফোজ করে ১০ লক্ষাধিক টাকার কাজের বিষয়টি মানতে নারাজ স্থানীয়রা। সরজমিনে দেখা যায়, সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ভেতরে কাজ চলছে। ১০ লক্ষাধিক টাকার এ কাজটি করছেন মেসার্স রহমান এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। স্তুপ করে রাখা হয়েছে শেওলা ও ময়লাযুক্ত কয়েক হাজার ইটা। সেই ইটা দিয়েই কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন। কাজ তদারকি করছেন শেখ মো. রফিক মিয়া নামের এক লোক। রফিক মিয়া ইটা গুলি নিম্নমানের তা স্বীকার করে বলেন, কাজের বিষয়ে মূল ঠিকাদার ভাল বলতে পারব। আমি মূল ঠিকাদার নয়। ইটা গুলি আমরা ক্রয় করিনি। নির্বাহী প্রকৌশলী ক্রয় করে এনেছেন। এ সময় উপস্থিত নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজ আহমেদ খান ইটা ক্রয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, কার্যাদেশে ইটার কথা নেই। তবুও আমি ঢালাইয়ের নীচের সলিং এর জন্য নিজের টাকায় ইটা গুলি দিয়েছি। এ গুলি তো নীচেই থাকবে। সমস্যা হবে না। অফিসের সামনের ফাঁকা জায়গা সলিং ঢালাই, পাশে শেড তৈরী, দুটি ক্লাক্সিবল গেইট, প্রধান ফটকের টাইলস্ ফিটিং ও অফিসের নাম ঠিকানা সহ অন্যান্য কিছু কাজ হবে। সব মিলিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার কাজ।