ডাক্তার এবং নার্স সংকটের কারণে পাবনার সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিবিৎসাসেবা মারাত্মভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন প্রকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় এ জনপদের মানুষ চিকিৎসাসেবা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৫০ শয্যার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯জন ডাক্তারের পদ রয়েছে। এর মধ্যে শিশু, গাইনি, অর্থপেডিক্স, ডেন্টাল, চক্ষু এবং মেডিসিনসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পদ রয়েছে ১০জন। আর নার্সের পদ রয়েছে ২৪জন। বর্তমানে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫জন ডাক্তার এবং ২০জন নার্স থাকলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার একজনও নেই। সুজানগর পৌর কাউন্সিলর মনসুর আলী শেখ মন্টু বলেন ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, গ্যাস্টিক এবং ছোট খাটো কাটাফাটা ছাড়া জটিল কোন রোগের চিকিৎসা হয়না। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার না থাকায় জটিল রোগে আক্রান্ত কোন রোগী ভর্তি হতে আসলে জরুরী বিভাগ থেকেই তাকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা কোন ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান বলেন নামেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আসলে এখানে কোন চিকিৎসা হয়না। যে সকল রোগী সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া এবং গ্যাস্টিকে আক্রান্ত হয়ে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন তারাও সুষ্ঠু চিকিৎসা এবং ওষুধের অভাবে স্বেচ্ছায় ছাড়পত্র নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ত্যাগ করেন। গত সপ্তাহে গ্যাস্টিকের সমস্যা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া রোগী মফিজ উদ্দিন বলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তেমন কোন ওষুধ সরবরাহ করা হয়না। বেশিরভাগ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়। কাজেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে কোন লাভ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম মোরশেদ বলেন ৫০ শয্যার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার এবং নার্স খুবই প্রয়োজন। অন্যথায় স্বল্প সংখ্যক ডাক্তার এবং নার্স দিয়ে বৃহৎ এই জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।