আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বুধহাটা দ্বাদশ শিব ও কালি মন্দিওে শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ নভেম্বর) ঘট স্থাপন ও সন্ধ্যায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে পূজা শুরু হয়।
জগদ্ধাত্রী শব্দের আভিধানিক অর্থ “জগৎ+ধাত্রী। জগতের (ত্রিভুবনের) ধাত্রী (ধারণকর্ত্রী, পালিকা)।” ব্যাপ্ত অর্থে দুর্গা, কালীসহ অন্যান্য শক্তিদেবীগণও জগদ্ধাত্রী। তবে শাস্ত্রনির্দিষ্ট জগদ্ধাত্রী রূপের নামকরণের পশ্চাতে রয়েছে সূক্ষতার ধর্মীয় দর্শন। জগদ্ধাত্রী বা জগদ্ধাত্রী দুর্গা হিন্দু শক্তি দেবী। ইনি দেবী দুর্গার অপর রূপ। উপনিষদে এঁর নাম উমা হৈমবতী। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও এঁর উল্লেখ পাওয়া যায়। দেবী জগদ্ধাত্রীর পূজা অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপূজার ঠিক একমাস পর কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে। কাত্যায়নীতন্ত্র- এ কার্তিকী শুক্লা নবমীতে দেবী জগদ্ধাত্রীর আবির্ভূত হওয়ার কথা আছে। জগদ্ধাত্রী পূজা তান্ত্রিক পূজা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী- এই তিন দিন জগদ্ধাত্রীর পূজা হয়ে থাকে।। কোথাও কোথাও প্রথম বা দ্বিতীয় পূজার পর কুমারী পূজারও আয়োজন করা হয়। দুর্গাপূজার ন্যায় জগদ্ধাত্রী পূজাতেও বিসর্জনকৃত্য বিজয়াকৃত্য নামে পরিচিত। এমনকি পুষ্পাঞ্জলি ও প্রণাম মন্ত্রসহ পূজার অনেক মন্ত্রও দুর্গাপূজার অনুরূপ। বুধহাটা দ্বাদশ শিব ও কালি মন্দিরের যুব সংঘের সভাপতি হিরনময় আঢ্য বলেন, আমরা পুজার সমস্ত আয়োজন শেষ করেছি। আগামী বুধবার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার সমাপ্তি ঘটবে। ২১ নভেম্বর রোববার ঘটস্থাপন, ২২ নভেম্বর সারাদিন ব্যাপী শ্রী জগদ্ধাত্রী মায়ের পূজা ও অর্চনা। সন্ধ্যায় দেবী মায়ের আরতী। ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবার পূর্বাহ্নে দর্পন বিসর্জ্জন ও সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় বিশিষ্ট ধর্মযাজক বিল্বমঙ্গল দেবনাথের কন্ঠে ভগবত আলোচনা ও ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতারন। বুধবার প্রতিমা বিসার্জন। পূজায় পুরোহিত্য করছেন বিশিষ্ট পুরোহিত বিকাশ ব্যাণার্জী।