পাবনার সুজানগরে আকাশ ছোঁয়া দামে পিঁয়াজ বীজ বিক্রি হচ্ছে। এতে পিঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। একই কারণে এ বছর পিঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়া নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পিঁয়াজ আবাদে খ্যাত এ উপজেলায় আগামী জানুয়ারী মাস থেকে মৌসুমী পিঁয়াজ আবাদ শুরু হবে। আর ওই পিঁয়াজ আবাদকে সামনে রেখে উপজেলার সর্বস্তরের কৃষকরা মাঠে মাঠে পিঁয়াজ বীজ বপণ শুরু করে দিয়েছেন। তবে এ বছর মাত্রাতিরিক্ত দামে পিঁয়াজ বীজ বিক্রি হওয়ায় পিঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। উপজেলার বোনকোলা গ্রামের পিঁয়াজ চাষী রইচ উদ্দিন বলেন গত বছর ১কেজি পিঁয়াজ বীজের দাম ছিল ১হাজার থেকে ১২‘শ টাকা। কিন্তু এ বছর ১কেজি বীজ কিনতে হচ্ছে ৫হাজার থেকে ৮হাজার টাকা দরে। এতে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক কৃষকদের পক্ষে পিঁয়াজ বীজ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উপজেলার ভিটবিলা গ্রামের প্রান্তিক পিঁয়াজ চাষী শাহজাহান আলী খান বলেন গত বছর বীজের দাম কম থাকায় ৫কেজি বীজ বপণ করেছিলাম। আর ওই বীজ দিয়ে মৌসুমী পিঁয়াজ আবাদ করেছিলাম ৭বিঘা জমিতে। কিন্তু এ বছর অতিরিক্ত দামের কারণে ৩কেজি বীজ কিনেছি। সেকারণে আবাদও গত বছরের চেয়ে কম জমিতে করতে হবে। উপজেলার মানিকহাট গ্রামের বড় পিঁয়াজ চাষী ওমর আলী প্রামাণিক বলেন এ বছর শুধু বীজের মাত্রাতিরিক্ত দামই নয়, চরম বীজ সংকটও রয়েছে। ফলে এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার বলেন গত বছর পিঁয়াজের দাম ভাল পাওয়ায় বীজ উৎপাদনকারী কৃষকরা বীজের জন্য মজুদ রাখা বেশিরভাগ পিঁয়াজ বিক্রি করে দেন। ফলে দেশে বীজ উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সংকট দেখা দিয়েছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।