বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরিশা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক মোঃ মোক্তার হোসেন ও অন্য এক নারী প্রধান শিক্ষিকাকে বরিশাল জেলার বাইরে শাস্তিমূলক বদলির নির্দেশনা নিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তবে এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকবর কবীর সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমাঞ্চ আহমেদকে প্রধান করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। অপর তদন্তকারী হলেন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনীরুল হক। তাদের ৭ দিনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য। আগামী ২৩ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা রয়েছে। তবে একটি সূত্রে জানাগেছে, ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমান মিলছে। এছাড়্ওা শিক্ষক মোক্তার হোসেন এর বিরুদ্ধে বদলি বানিজ্য, বৃত্তি বানিজ্য সহ ৩০ টিরও বেশি অভিযোগ প্রমান হয়েছে, শিক্ষক মোক্তার হোসেন বিভিন্ন সময় প্রধান শিক্ষিকাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব দিলে তিনি তা করে দিতেন। এভাবেই তাদের মধ্যে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রধান শিক্ষিকা ওই বাসায় গেলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রধান শিক্ষিকার শর্তসাপেক্ষে মোক্তার হোসেন তার প্রথম স্ত্রীকে গত ২৭ সেপ্টেন্বর নোটারির মাধ্যমে তালাক দেয় এবং ২৯ সেপ্টেন্বর নোটারির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকার কাবিনে তাকে বিয়ে করে। এদিকে বিয়ের পরও মোক্তার হোসেন প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর অধিকার পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলালের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় শিক্ষক মোক্তার হোসেন। পরে বিয়ের আগে ওই শিক্ষাকাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।