মধুখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ উপেক্ষা করে এক কৃষকের ফসলী জমি দখল করে পুরোদমে চলছে ঘর নির্মাণের কাজ। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারি ওই ব্যক্তির নাম মো. আযুব খান। তার বাড়ী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামে। সে মধুখালী উপজেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন দেওয়ানী ৭২/২০ নম্বর মোকদ্দমার ৫ নম্বর বিবাদী।
জানাগেছে মধুখালী উপজেলার মছলন্দপুর মৌজার এসএ ১৩৪২ খতিয়ানের ৪৯২৩ দাগের ৪৮ শতাংশ জমিতে নছরউদ্দিন সেক একক মালিক থাকেন। তিনি ওই জমি ১৯৬৩ সালে ৫২২৬ নম্বর কবলা দলিল মূলে জমিরউদ্দিন বিশ্বাসসহ অপর তিন ব্যক্তির নিকট বিক্রি করে। পরবর্তীতে খরিদা মালিক সুজাউদ্দিন বিশ্বাস ১৯৯৬ সালে তার অংশ জমির বিশ্বাস এর নিকটে বিক্রি করে। সেই থেকে দীর্ঘ ৬০ বছরের উদ্ধোকাল বাদীরা পূর্ববর্তীক্রমে ওই জমি ভোগদখল করে আসছেন। সম্প্রতি মধুখালীতে দরিদ্র ওই কৃষকের জমির পেঁপে ও কলাবাগান কেটে এবং হলুদ বাগান নষ্ট করে জমির দখল গ্রহন করে ঘর উত্তোলনে চেষ্টা করলে নাজিম বিশ্বাস বাদী হয়ে আদালতে মোকদ্দমা করে নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ বিচারক প্রথমে কারণ দর্শাতে নির্দেশ জারি করেছেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার আদালত লিখিত আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত মোকদ্দমার ৫ নম্বর বাদী মো. আয়ুব খানকে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ আরোপ করেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে তিনি আদালতের নিষেধাজ্ঞা নোটীশ পেয়েও পুরো দমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে মো. আয়ুব খানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান নালিশী জমিতে আমার কোন দাবী নেই। আমি মূলত মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে এবং অর্থায়ানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে বাদী নাজেম বিশ্বাস অভিযোগ করেন নিষেধাজ্ঞা নোটিশ পেয়েও মো. আয়ুব খান আর বেশি শ্রমিক নিয়ে তরিঘরি করে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে আদালতের নির্দেশে অ্যাডভোকেট কমিশনার ইতোমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন সেখানে কোন ঘর নির্মাণের চিহ্ন পাননি। অথচ রিপোর্ট দাখিলের পরে সেখানে ঘর নির্মাণ করতে দেখা গেছে।