নীলফামারীর ডিমলায় সৎ যোগ্য এবং এলাকার জনপ্রিতার শীর্ষে একজন ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ খান।
গত ২০০৩ সালের জানুয়ারী হতে প্রায় ১৯ বছর ধরে তিনবার উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে অত্র ইউনিয়নের জনগণের মনের মাঝে জায়গা করে নিয়েছেন।
ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে বংশানুক্রমে সম্পৃক্ত থেকে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সর্বশেষ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দাযিত্ব পালন করেছেন। ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তার পিতা মঙ্গল খান বর্তমানে অত্র ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোটভাই আবদুল মতিন খান অত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক।
ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগ ও নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগ সুত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ১৮ই মে তৎকালিন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আবদুল লতিফ খান ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মর্মে জানাযায়। এবং ১৯৯১ সালের ১৯ই জুন তারিখে ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে আবার তিনি সহ-সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৯১ সালে তৎকালিন নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিপন আবদুল লতিফ খান (চেয়ারম্যান) ছাত্রলীগের সাথে জাড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে প্রতিটি মিছিল মিটিং আন্দোলন সংগ্রামে আবদুল লতিফ খান চেয়ারম্যান ছিলো প্রথম সারির যোদ্ধা। যে কারণে তার নামে বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছিলো। তৎকালিন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জানি না কারা কি স্বার্থে তার নামে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু আমি বলবো লতিফ চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। সে ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আবদুল লতিফ খান ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে দুই বার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ১৯৯১ সালে জেলা ছাত্রলীগের কাউন্সিলে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
স্বরেজমিনে পূর্বছাতনাই আওয়ামী লীগের নেতা/কর্মীদের কাছে জানাযায়, গত(১২ নভেম্বর) উপজেলার ১০ নং পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে আবদুল লতিফ খান চেয়ারম্যান অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী (কাউন্সিলর)দের সমর্থনে সভাপতি পদে তার বিজয় নিশ্চিত জেনে তার বিরোধী একটি কু-চক্রীমহল বিভিন্ন ধরনের অপবাদ অপপ্রচারে লিপ্ত হওয়ায় সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ খান বলেন, আমরা বংশগতভাবেই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত। আমি জন্ম থেকেই দেখে আসছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে এসেছে আমার পিতা। আমিও বড় হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করি। আমি ১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগ ও ডিমলা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। এ ছাড়া আমি তিন বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে একটি কু-চক্রী মহল ষড়যন্ত্র করে নানা রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে।