আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের তুয়ারডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থাপনা ও লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
সরেজমিন ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, তুয়ারডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৩ অক্টোম্বর ল্যাব সহকারী শিক্ষক পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে বিধিমালা লঙ্ঘন করে ধুয়াশা সৃষ্টি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এসএমসি সভাপতি সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজস করে এলাকায় পরীক্ষা না নিয়ে তালা উপজেলায় পরীক্ষা গ্রহন করেন। করোনার কারণে তাদেরকে এই স্থানে পরীক্ষার আয়োজন করতে হয়েছে এমন অগ্রহনযোগ্য বাহানা দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমারের পূর্বেকার গোপন আস্তানায় এ নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। আশাশুনির কোন প্রতিষ্ঠান করোনা ঝুঁকিমুক্ত নয় তালা উপজেলা ঝুঁকিমুক্ত হলো কিভাবে? নাকি অভিভাবক তথা এলাকাবাসীকে অন্ধকারে রাখতে নিয়োগ বাণিজ্য সফল করতে এহেন গোপনীয় অভিযান? এমন প্রশ্ন সচেতন সকলের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জানান, সভাপতি আশীষ কুমার ও প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসারকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে কাগজ কলমে বিধি সম্মত নিয়োগ দেখিয়ে অনিশ কুমার ঢালীকে নিয়োগ প্রদান করেন। অথচ লিটন কুমার রাহা পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ন হলেও তাকে কৌশলে ফেল করানো হয়েছে বলে তারা দাবী করেন। গোপনে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে এমন খবর এলাকায় প্রকাশ পেলে এলাকাবাসী হতভাগ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া নিয়োগ বাণিজ্যের টাকা ভাগাভাগিতে কমবেশী হওয়া নিয়ে কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন গন্যমান্য ব্যক্তির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি এবং এক কান দু’কান করতে করতে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানাগেছে। নিয়োগ বাণিজ্যেও টাকা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে না রেখে ভাগাভাগির ঘটনায় সচেতনমহলে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীরা আরও জানান, ইতঃপূর্বে প্রধান শিক্ষক সুব্রত তার নিজের মেয়ে ও একাধিক শিক্ষককে তার আমলে এমনিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এরফলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও একাধিক পত্রপত্রিকায় অনিয়মের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ঐ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে বদলি হতে হয়েছিল বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকি বিল্লাহর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে কোন নিয়োগ হয়েছে আমার জানা নেই। আপনারা বলছেন তাই আমি শুনেছি। প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে আমি কিছু বলতে পারব না। যা শুনার স্বাক্ষাতে শুনতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিষয় জানেন না বলে দাবী করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশীষ কুমারের ০১৭১২-৮৮১৮৯২ নং মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।