নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নীলফামারীতে পালিত হয়েছে ৫০তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস। শনিবার জেলা শহরের শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দিবসটির র্যালীতে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের পরিবারের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
ডিফেন্স এক্স-সোলজার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (ডেসওয়া) জেলা শাখার আয়োজনে ভার্চুয়ালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূও এ সময় তিনি বলেন, ধর্মেও নামে মানুষকে বিভ্রান্তি করছে একটি অপশক্তি। এরা দেশের স্বাধীনতা যেমন চায়নি তেমনি এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না। বিভিন্নভাবে অরাজকতা তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে তারা। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন অরাজকতা দেখলে সেটি স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। এজন্য আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করতে হবে।
ডিফেন্স এক্স-সোলজার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ডেসওয়া এর জেলা শাখার সভাপতি আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কর্নেল (অব.) তছলিম উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহিদ মাহমুদ, জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান, ডেসওয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মানিক প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ ও প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র ও সাধারণ জনতা মিলে গড়ে তোলেন সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একটি মহান দিন। এদিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে। দেশ স্বাধীনের পর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী আলাদা আলাদাভাবে যথাক্রমে ২৫ মার্চ সেনাবাহিনী দিবস, ২৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনী ও ১০ ডিসেম্বর নৌবাহিনী দিবস পালন। পরে ২১ নভেম্বরের তাৎপর্য সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।