গাইবান্ধায় ন্যাশনাল সার্ভিসের এক কর্মীকে (৩৫) ধর্ষণ ও তার ভিডিও ধারন করে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে একইভাবে কাজ চালানোর অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে (৫০) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশের একটি দল। সে সদর উপজেলার ১ নম্বর লক্ষ্মিপুর ইউনিয়নের মালিবাড়ির বকসির খামার গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন পুত্র।
পুলিশ ও নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ মার্চ চেয়ারম্যানের কাছে প্রত্যয়ন নিতে যায় ওই গৃহবধূ। এ সময় চেয়ারম্যান কৌশলে তাকে কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে বিভিন্ন সময় ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চেয়ারম্যান বাদল।
শুধু তাই নয় গত ১১ নভেম্বর ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর অনুপস্থিতিতে আপত্তিকর অবস্থায় লক্ষীপুরের বামুনীপাড়ার এলাকাবাসী চেয়ারম্যানকে আটকের চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৭ সালে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল এই ইউপি চেয়ারম্যান। সে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান। গৃহবধূ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছে। ২৫ নভেম্বর ভুক্তভোগীর মেডিকেল টেস্ট শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ ব্যাপারে গাইবান্ধা সদর থানায় ধারা ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ৪৯, জিআর-৭৬২।