আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় বেতনা নদীর চর দখল করে গড়ে উঠা ইরামনি ব্রিক্স- এ কাঠ ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইটভাটার দখলে কয়েক একর খাস জমি রয়েছে বলে জানাগেছে। ভাটার পার্শ্ববর্তীতে লোকালয় অবস্থিত। রয়েছে পাশেই অনেকগুলো মৎস্য ঘের। খাসজমি ও চরের মাটি কেটে তৈরি করা হচ্ছে ইট। ইট প্রস্তুত ও ভাঁটা স্থাপন (নিয়ন্ত্র) আইনের ২০১৩ অনুচ্ছেদ ৮ এর (গ) ধারা অনুযায়ী সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান ও জলাভূমি এলাকায় ইটভাটা স্থাপন দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু কিভাবে এ ইটভাঁটা চলভে? এমন প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের। এ ইটভাটায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। চিমনি দিয়ে বের হওয়া কালো ধোঁয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষের জীবনে নেমে আসছে নানা সংকট। ভাঁটার কাজে ব্যাবহৃত ভারী যানবাহনে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইরামনি ব্রিক্স এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ভাঁটাটি বেতনা নদীর পুরো চর দখল করে আছে। ভাঁটার চারপাশে কয়েক শ’ মন কাঠ স্তুপাকারে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।