লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগে হাছনা আক্তার নামে ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম নবী তাকে বরখাস্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দফতরে এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করেছেন। যার স্মারক নং-জেপ্রশিঅ/লাল/এফ-সামঃ বরঃ/২০২০/১৬৭৩/৮।
হাছনা আক্তারকে বরখাস্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
হাছনা আক্তার হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ছাড়া তিনি ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সামাদ মুন্সির ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী।
জানা গেছে, হাছনা আক্তার তার নিজ বড় বোনের দাখিল পাশের সনদপত্রে নিজের নাম অন্তভুর্ক্ত করে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া সনদ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে চাকরি নেন। পরে ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের জন্য লালমনিরহাট জেলা পুলিশ (বিশেষ শাখা) ওই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকের বিষয়ে তদন্ত করেন। আর সেই তদন্তে হাছনা আক্তারের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির সত্যতা পায় পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাছনা আক্তারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পূর্ব বিছনদই ডাঙ্গাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পেয়েছিথ।
বিদ্যালয় পরিচলনা কসিটির সভাপতি আবদুস সামাদ মুন্সি বলেন, ‘সে আমার ছেলে আরাফাত ইসলাম তুহিনের স্ত্রী। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে সনদ ভুয়া কিনা সেটা আমার জানা নেইথ।
হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘হাছনা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছেথ।