ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশকেন্দ্রের শতবর্ষী এক বটগাছে মৌমাছির দল ৭২টি চাক বেঁধেছে। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য প্রতিদিনই গজনী অবকাশকেন্দ্রে ভিড় করছে উৎসুক মানুষ। আর ভ্রমণপিপাসুরা তো আছেনই।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) গজনী অবকাশকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, অবকাশকেন্দ্রের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী বটগাছটি। গাছটির গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে নির্বিঘেœ বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুঞ্জনে পুরো এলাকা মুখরিত। দর্শনার্থীরা গজনী অবকাশে বেড়াতে এসে ওই বটগাছের কাছে কিছুক্ষণের জন্য হলেও থমকে দাঁড়াচ্ছেন।
জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার দর্শনার্থী আহসান হাবীব বলেন, অবকাশে বেড়াতে এসে দেখলাম একটি বটগাছে ৭২-৭৩টি মৌচাক। একটি গাছে এতগুলো চাক হতে পারে, তা কখনো ভাবতে পারিনি। এই প্রথম দেখলাম।
গজনী অবকাশকেন্দ্রের কাপড় ব্যবসাী আকরাম বলেন, মৌচাকগুলোতে কোনো ঢিলাঢিলি নেই। সে জন্য মৌমাছিরা নির্বিঘেœ বসবাস করতে পারছে। এটি দর্শনার্থীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
মৌচাষি আবদুল হালিম বলেন, অবকাশকেন্দ্রের বটগাছে মৌচাক করা মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। এ ছাড়া গারো পাহাড়সংলগ্ন বনে এখন প্রচুর ফুল রয়েছে। এসব ফুল থেকে মধু আহরণের সহজ উৎস হওয়ায় মৌমাছিগুলো প্রাচীন এ বটগাছটিতে বাসা বেঁধেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ বলেন, একটি গাছে এতগুলো মৌচাক সচরাচর দেখা যায় না। এসব মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ এবং মৌমাছিদের বিরক্ত না করে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব মৌচাক ভ্রমণপিপাসুদের কাছে গজনী অবকাশকেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।