চলতি রবি মৌসুমে সুজানগরের মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে সরিষার হলুদ ফুল। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমি যেন সরিষা ফুলের হলুদ শাড়িতে সেজেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে সাড়ে ৫‘শ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে চরাঞ্চলের জমিতেই আবাদ করা হয়েছে প্রায় আড়ই‘শ হেক্টর জমিতে। উপজেলার বড় থেকে শুরু করে প্রান্তিক কৃষকরা পর্যন্ত তাদের জমিতে সরিষা আবাদ করেছেন। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন বোরো ধান আবাদে প্রচুর খরচ হয়। আর ওই খরচ পোষাতে বেশিরভাগ কৃষক সরিষা আবাদ করে থাকেন। উপজেলার খলিলপুর গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল বলেন হাট-বাজারে ধান বা অন্যান্য ফসলের চেয়ে সরিষার দাম ভাল। তাছাড়া সরিষা চাষে খরচও কম। সেকারণে উপজেলার অধিকাংশ কৃষক কম-বেশি সরিষা আবাদ করেন। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের উঁচু জমিতে আগাম আবাদ করা সরিষার হলুদ ফুলে ফুলে সেজেছে ফসলের মাঠ। ওই সব সরিষা কৃষকের ঘরে উঠতে এখনও ২০/২৫দিন সময় লাগবে। তবে সরিষা ঘরে উঠতে দেরি থাকলেও সরিষা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আর সরিষার ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জনতো আছেই। মৌমাছি ব্যস্ত সরিষা ফুলের পাপড়ি থেকে মধু আহরণ করতে। সেই সঙ্গে মধু পিপাসুরা সরিষা ফুলের খাঁটি মধু কিনতে ছুটছেন মৌয়ালদের বাড়ি বাড়ি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার বলেন, অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক সময়ে সার, বিষ প্রয়োগ করায় চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার সর্বত্র সরিষা ভাল হয়েছে। আশা করছি এ বছর বাম্পার ফলন হবে।