ইট ভাটার কারণে নষ্ট হওয়া জমির উর্বরতা ফিরিয়ে এনে জমির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির কৌশল বিষয়ক কর্মশালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ হল রুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড.মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম (বাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবু হাদি নুর আলী খান, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের প্রাক্তন ডীন প্রফেসর ড. এম জহির উদ্দীন। কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন সুমন এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও ইট ভাটায় মাটি কাটায় জমির উর্বরতা পূণরুদ্ধারে কাজ করা গবেষক প্রফেসর ড.মাহমুদ হোসেন সুমন জানান, বাংলাদেশে প্রায় ৭০০০ ইট ভাঁটা আছে যাতে বাৎসরিক উৎপাদন হয় প্রায় ২৩ বিলিয়ন। এ বিপুল পরিমান ইট তৈরৗ করার জন্য কৃষি জমির উপর থেকে মাটি কেটে নেয়ার ফলে জমির উর্বরতা ব্যাপকভবে নষ্ট হয়ে উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন জৈব উপাদান যেমন: কুইক কম্পোস্ট, ছাই, ও সবুজ সার ইত্যাদি ব্যবহার করে জমির উর্বরতা ফিরিয়ে এনে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। এসব তথ্য জানান
তিনি আরও জানান, ইট ভাটায় ক্ষতিগ্রস্ত জমির উর্বরতা পূণরুদ্ধারে কাজ করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এসংক্রান্ত এক গবেষণা কাজের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতি হেক্টরে ৩ টন কুইক কম্পোস্ট ও ১টন ছাইএর যৌথ প্রয়োগ উর্বরতা পূণরুদ্ধারের জন্য সবচেয়ে ভাল ফলাফল দিয়েছে।
উল্লেখ্য জমির উর্বরতা পূণরুদ্ধারের জন্য বায়োটেকনোলজি এ- বায়োরজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল ইউকের অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুইন্স ইউনিভার্সিটি, বেলফাস্ট এর যৌথ উদ্যেগে একটি গবেষণা কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তরের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।