কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর পৌর শহরের বরখারচর ও সালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সালুয়াতে বিভিন্ন ব্যান্ডের নকল ব্যাটারীর পানির ফ্যাক্টরীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এদুটি ফ্যাক্টরী দেশের বিভিন্ন নামীদামী কোম্পানীর নাম করে ব্যাটারী পানি কিশোরগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন জেলার দোকানগুলিতে বিক্রি করে যাচ্ছে অবাধে। নামী-দাবী কোম্পানীগুলি এসব নকল কোম্পানি স্থাপন ও পানি বিক্রি করার ফলে সরকারী ভ্যাট, রাজস্ব, বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিশাল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এসব কোম্পানি তারা বৎসরের পর বছর সরকারকে কোন কাগজ না দিয়ে দেদারছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম করে ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। গত কিছুদিন আগে সালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সালুয়া গ্রামে ব্যাটারী পানি ফ্যাক্টরীর মালিক মিজান ও শাহ আলম মিয়া যৌথভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে গত কয়েক মাস ধরে। এদিকে ঐ এলাকার হাজী মোঃ উবায়দুল করিম তার ছেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম করে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উবায়দুল করিম সাংবাদিকদের জানান, আমি প্রথম এ ব্যবসা চালিয়েছিলাম, যখন জানতে পারলাম ব্যবসাটি অবৈধ তখন আমি ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছি। অন্যদিকে জায়গার মালিক মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, আমি তাদের জায়গা ভাড়া দিয়েছি, তারা কি প্রতিষ্ঠান বানিয়েছে সেটা আমার বিষয় নয়। এ ছাড়া কুলিয়ারচর পৌরশহরের বরখারচর গ্রামে হাজী আবদুল মতিন ও নামী-দামী কোম্পানীর নাম করে নকল ব্যাটারীর পানি ও কুলেন পানির ব্যবসা করে আসছেন। গত বুধবার দুপুরে একদল সাংবাদিক নকল ব্যাটারীর পানির সন্ধানের বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়াত ফেরদৌসী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন ছাত্তারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।