খুলনার কয়রা আমাদী ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরোদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ। ভূমি কর্মকর্তার স্বেচ্ছাচারিতা থেকে প্রতিকার পেতে ভূক্তভোগিরা গণ স্বাক্ষরিত অভিযোগ দাখিল করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে। উপজেলার নাকসা গ্রামের মশিউর রহমান মোল্লার দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ১৫সেপ্টেম্বর আমাদী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রল্লাদ রায়, সরকারী “ক” তফশিল ভূক্ত আমাদী মৌজার ২১৩৪, ২১৩৬, ২৩০০, ২৩২৪, ২১০৪, ২১০৯,নং দাগের জমি অর্থের বিনিময় বিভিন্ন ব্যক্তির নামে খাজনা-দাখিলা দিয়েছেন এমনকি প্রতিবেদনও দিয়ে নামজারীতে সহযোগিতা করেছেন। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রকাশিত “ক” তফশিল ভূক্ত গেজেট অনুসন্ধান করে দেখা গেছে আমাদী ইউনিয়নের উপরিক্ত ৬টি দাগ গেজেট ভূক্ত জমি। সরকারী “ক” তফশিল ভূক্ত সম্পত্তির দাখিলা দেয়ায় ও একই সম্পত্তি সরকারী খতিয়ান থেকে ব্যক্তির নামে নামপত্তন হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে অভিযোগের বিষয়ে সতত্যার অনুসন্ধানে গেলে উপস্থিত ভূক্তভোগীরা তওশীলদার সম্পর্কে বলেন তিনি সরকারী সম্পত্তির দাখিলা দিলেও ব্যক্তি সম্পত্তি দাখিলা দিতে তালবাহানা করেন। যেকোন দাখিলা পেতে হলে তওশীলদার কে দিতে হয় মোটা অঙ্কের অর্থ। এ প্রসঙ্গে বিষয়ে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রল্লাদ রায় তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।