চট্টগ্রামে বন্ধ নেই রেলের জমিতে অবৈধ দখলদারদের বাণিজ্য। এই বাণিজ্য চালিয়ে অনেকেই কোটি কোটি টাকার মালিকও হয়েছেন। ওই দখলদারদের কাছে যেন অসহায় রেলওয়ে পুলিশ, রেল কর্মকর্তা ও আরএনবি (রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী) সদস্যরাও। অভিযোগ রয়েছে, মাঝে মাঝে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও উচ্ছেদকৃত জমি সংরক্ষণের অভাবে সেই জমি আবার বেদখল হয়ে যাচ্ছে। শহরের টাইগারপাস রেলওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিশাল জায়গাটি দখল করে দুই পাশে স্থায়ীভাবে গড়ে তোলা হয়েছে মার্কেট।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, টাইগারপাসের রেল ক্রসিংয়ে যাওয়ার জন্য রেলওয়ের বিশাল জায়গায় অন্তত শতাধিক দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। সেই দোকানগুলো ভাড়া দিয়েছেন কতিপয় ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের ভয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং আরএনবির কেউ মুখ খুলছেন না। একটি দোকানের মাসিক ভাড়া ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা। একটি দোকান নিতে অগ্রিম এক লাখ থেকে ৮ লাখ পর্যন্ত অগ্রিম দিতে হয়েছে। এই পুরো এলাকাটি সিআরবিতে ডবল মার্ডার মামলার আসামি এক ছাত্রলীগ নেতার দখলে। এই দোকানগুলো তিনি এবং তার অনুসারীরা ভাড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে বছরের পর বছর বাণিজ্য চলছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করেও কাজ হয়না। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পুলিশের সার্কেল এ এসপি কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আসলেই আমরা মন থেকে চাই এগুলো পুরোদমে উচ্ছেদ হোক। এগুলো দেখতে আমাদের ভালো লাগে না। এগুলো উচ্ছেদ হলে আমাদের এলাকাটাও আরো পরিস্কার হবে। উচ্ছেদের জন্য রেলওয়েকে প্রথমে উদ্যোগ নিতে হবে।