গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণের জন্য ১০০টি নিম্নমানের ফাস্ট এইড বক্স, ৪ হাজার পিচ ব্রাশ, ৪ হাজার পিচ পেস্ট ও ৪শত ৫০টি নেইল কাঁটার সরবরাহ করা হয়েছে। বক্সের ভিতরে দেওয়া হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ।
গত ১২ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে এ জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
তবে এই সকল জিনিসপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিদ্যালয় স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় ক্রয় করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা দিপঙ্কর বালা বলেন, গত ১২ অক্টোবর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিতরণের জন্য ১০০টি ফাস্ট এইড বক্সসহ যে সকল জিনিসপত্র সরবরাহ করা হয় তাহা অত্যন্ত নিম্নমানের। এ ছাড়া প্রতিটি ফাস্ট এইড বক্সে যে সকল ওষুধ দেওয়া হয়েছে তা সবই মেয়াদোত্তীর্ণ। এমনকি যে পেস্টগুলো দেওয়া হয়েছে তাহাও মেয়াদোত্তীর্ণ।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যারতন বিশ্বাস বলেন, ফাস্ট এইড বক্সগুলো দেওয়ার পরে ভিতরে কি জিনিসপত্র আছে তা দেখার জন্য আমরা একটি বক্স খুলি। প্রতিটি বক্সে রাখা ওরস্যালাইন, নাপা, এলার্ট, স্যাভলন, পবিসেভসহ সকল ঔষধপত্রের মেয়াদোর্ত্তীর্ণ। তারপরে আমরা এ সকল বক্স্র আর বিদ্যালয়ে বিতরণ করিনি।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুন কুমার ঢালী বলেন, নিম্নমানের ফাস্ট এইড বক্স ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দেখে সাথে সাথেই আমরা বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্যকে জানাই। প্রায় ২মাস অতিবাহিত হলেও তিনি নিম্নমানের এই ফাস্ট এইড বক্স ও অন্যন্যা জিনিসপত্র এখনো ফেরত নেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা এ বিষয়ে এখনো আমাকে কোন সিন্ধান্ত জানাননি।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি কোটালীপাড়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুশান্ত বৈদ্যর সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করবো।