‘নিরাপদ হোক প্রতিটি প্রসব, যতেœ থাকুক মা ও নবজাতক’ এই শ্লোগানকে প্রাধান্য দিয়ে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে বিনামুল্যে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা, রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা, রক্ত দাতা সংগ্রহ, ডাটাবেইজ প্রস্তুত করন, সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মা ও শিশু স্বাস্থ্য সহায়িকা বিতরণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ছাত্রলীগের সহযোগিতায় কাপাসিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহিমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পৃষ্টপোষক ও উদ্যোগতা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আমানত হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: ইসমত আরা, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল কাইয়ুম ভুঁইয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ‘রক্তদান সেবা সংঘ’ এর সহযোগিতায় বিনামুল্যে মায়েদের রক্তের গ্রুপিং পরীক্ষা এবং গর্ভবতী মায়েদের প্রসবপূর্ব সেবা দেয়া হয় এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন মা ও শিশুস্বাস্থ্য কার্ডসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জরিপ মতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ২৪ শত জন গর্ভবতী মা রয়েছে। তাদের মধ্যে পাবুর ১০ শয্যা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে ২২১ জন গর্ভবতী মা’কে স্মার্ট কার্ড ও সেবা দেয়া হয়েছে। কার্ডধারীরা ৪ বার প্রসবপূর্ব সেবা সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং কোথায়, কখন, কোন ব্যক্তির কাছে এই সেবা পাওয়া যাবে তার অফিসিয়াল ফোন নম্বরসহ বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে। গর্ভবতী মায়ের মোবাইল ফোনে গর্ভকালীন ৪ মাস, ৬ মাস, ৮ মাস, ৯ মাস সময়ে প্রত্যেকবারই পরিদর্শনের তারিখের ৩ দিন পূর্বে স্মার্ট এমসিএইচ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সফ্টওয়ার থেকে সেবা গ্রহনের স্থান, ব্যক্তির নাম ও ফোন নাম্বরসহ বাংলায় এস এম এস যাবে।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি সরাসরি গর্ভবতী মায়েদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, গর্ভবতী মায়েদের প্রতি আমাদের ভালবাসা থাকতে হবে। তিনি কয়েকজন অল্প বয়সে বিবাহিত গর্ভবতীকে দেখে বলেন, বাল্য বিয়েকে আমাদের কঠিন ভাবে রোধ করতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে হলে তার যদি সন্তান আসে তাহলে সেই সন্তান অপুষ্টিতে ভোগে। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান। তিনি গর্ভবতী মায়েদের বলেন, প্রতিটি প্রসব যেন নিরাপদে হয় এইজন্য সরকারি হাসপাতাল সর্বক্ষন সব রকমের সেবা বিনামুল্যে দিয়ে থাকে।