সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বুধবার সকালে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সদস্য ও দৈনিক রুদ্রবার্তা পত্রিকার সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের পরিবারের ওপর প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা করে। হামলায় মহিলাসহ ৭ জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট করে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই মোঃ মনির হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের পরিবারের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে হযরত আলীর নাতি মুরাদের সঙ্গে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের ভাতিজা রিয়াদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মুরাদ তাদের বাড়িতে বিষয়টি জানালে হযরত আলীর নেতৃত্বে আমিন, আবদুর রহিম, জুয়েল, জুম্মন, ইয়ানুস, আল আমিন, ইমান আলী, নুরুল ইসলাম, মুরাদ, ইমরান ও শাকিলসহ ২০/২৫ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র শাবল, ছেনদা, লোহার রড, গ্যাসের পাইপ, কুড়াল, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে এসে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করতে থাকে। একপর্যায়ে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের মা রাশিদা বেগম, বড় ভাই শহিদ, ভাবী ইয়াসমিন, ভাতিজা রমজান, রিয়াদ ও সুজনকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার ভাবীকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার খবর পেয়ে মামলার বাদি মনির হোসেন বাড়িতে আসার সময় আলগীরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাকেও এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হযরত ডাকাত ও তার ছেলে আবদুর রহিমের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জ বন্দরসহ বিভিন্ন থাকায় ডাকাতি, অস্ত্র ও ধর্ষণসহএকাধীক মামলা রয়েছে।
অভিযুক্ত হযরত আলী ওরফে হযরত ডাকাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। পোলাপাইন মনে হয় ঝগড়াঝাঁটি করেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।