নওগাঁর পত্নীতলায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে জনসম্মুখে ছোট বোনকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে বড় ভাই হোমিও চিকিৎসক সামসুজ্জোহা (৪৫) কে আটক করেছে থানা পুলিশ। নির্যাতিত ছোট বোন তহুরা বানু ইতির মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার রাতে নজিপুর পুরাতন বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত সামসুজ্জোহা উপজেলার নজিপুর পৌরসভার ছোট চাঁদপুর মহল্লার মৃত তাছির উদ্দিনের ছেলে ও নির্যাতিত তহুরা বানু ইতির বড় ভাই। মামলার অপর আসামিরা হলেন, বড় ভাই ডাঃ শরিফুল ইসলাম, ভাবি শিখা খাতুন, ভাতিজি শামীমা খাতুন শিলা, বোন তৌফিকা বেগম ও ভগ্নিপতি সোলাইমান হোসেন। তবে ডাঃ সামসুজ্জোহা ছাড়া পুলিশ অন্য কোন আসামীকে আটক করতে পারেনি।
মামলার প্রদত্ত এজাহার সুত্রে জানা গেছে, নজিপুর পৌরসভার ছোট চাঁদপুর মহল্লার মৃত তাছির উদ্দিনের ছেলে হোমিও ডাক্তার সামসুজ্জোহা বাবুসহ অন্যান্য ভাই বোনদের সাথে ছোট বোন তহুরা বানু ইতির (৪২) বেশ কিছু দিন ধরেই পৈত্তিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার বিকেল ২.৫০ মিনিটে ছোট বোন ইতি বড় ভাই ডাঃ সামসুজ্জোহার বাড়িতে গিয়ে তাঁর সম্পত্তি বুঝে দেওয়ার জন্য বললে উভয়ে বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা দলবদ্ধভাবে লাটিসোটা ও লোহার রড দিয়ে ইতিকে এলোপাতাড়ি ভাবে আঘাত করে। এতে ইতির মাথা ফেটে গেলে সারা শরীর রক্তাক্ত হয়ে পড়লে সে একসময় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ওবায়দুল ইসলাম মিন্টু নামে এক ব্যক্তি স্থানীয়দের সহায়তায় ইতিকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতির মাথা ফেটে যাওয়ায় ৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। মাথাছাড়াও ডান হাত, কোমর ও হাঁটুর নীচে সে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ সামসুল আলম শাহ্ জানান, মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করা হলে রাতেই প্রধান আসামি সামসুজ্জোহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।