জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন (৬০) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন)। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়,বকশীগঞ্জ পৌর শহরের মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। অসুস্থ জনিত কারণে গত প্রায় এক মাস পূর্বে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। প্রায় ১০ দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে বৃহস্পতিবার সকালে সবাইকে কাদিঁয়ে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুকলে তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য আত্বীয়স্বজন এবং গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার প্রথম জানাযা বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় নয়াপল্টন সিটি হার্টের সামনে ও দ্বিতীয় জানাযা বেলা তিনটায় গাজীপুরের হোতাপাড়ায় অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হবে। আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন ছাত্রজীবনে বকশীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। পরে দীর্ঘ সময় তিনি বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কা-ারী ছিলেন আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এলাকায় তিনি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত। তিনি দুইবার জামালপুর-১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
তার মৃত্যুতে সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিল্পপতি নুর মোহাম্মদ,সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ¦ এমদাদুল হক এমদাদ সহ , বিভিন্ন জন গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের পরিবারের প্রতি সমবেধনা জানিয়েছেন।