১৮ বছর ধরে অবৈধভাবে আহবায়কের পদ আঁকড়ে রাখা ও সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে এবং টাকার বিনিময়ে কমিটি দেয়ায় করিমগঞ্জ উপজেলা আওওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খানের অপসারনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক তালুকদার। এতে সভাপতিত্ব করেন আব্বাছ উদ্দিন আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নাসিরুল ইসলাম খান চট্রগ্রাম জেটিতে টালি ক্লার্ক হিসেবে চাকুরীর সুবাদে দুর্নীতর মাধ্যমে কোটি কোটি মালিক হয়েছেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর চট্রগ্রামের প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দীন চৌধুরী অসৎ কর্মচারী হিসেবে নাসিরুল ইসলামের নাম উল্লেখ করেন। সেই দুর্নীতিবাজ কোনো দিন আওয়ামী লীগ না করলেও ২০০২ সালে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে বঞ্চিত করে জামায়াত-বিএনপির লোকদেরকে ইউনিয়ন কমিটির পদ বিক্রি করে যাচ্ছেন। তাই আহবায়ককে আমরা দ্রুত অপসারনের জন্যে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এবিএম সিরাজুল ইসলাম, মাহবুবুল বাশার শামীম, জিল্লুর রহমান ঠাকুরসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান বলেন, গত ১৮ বছর যাবত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে জাপার লোকজন আওয়ামী লীগের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। আমার ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি (আওয়ামীলীগ) হতে ১৭জন বের হয়ে গেছে। ওরা আওয়ামী লীগ করে না, নৌকার নির্বাচনের বিরুদ্ধাচারন করে।