কিশোরগঞ্জের মহিনন্দের সালাম হত্যার ১ বছর তিন মাস অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামি গ্রেফতার হয়নি। হত্যার পর প্রধান আসামি বাড়িছাড়া হয়ে পলাতক রয়েছে। কিশোরগঞ্জ ১নং আদালতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হওয়ায় পুলিশ আসামীকে গ্রেফতারে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। কেউ আসামীর সন্ধান পেলে পুলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে মৃত আব্দুল কাদির ভূইয়ার ছেলে আব্দুস সালাম ও একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আহাদ উরফে মঞ্জু ভূইয়ার সাথে জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য দরবার বসলে দরবারিগণ সালামকে বাড়িতে ঘড় তোলার জায়গা নির্ধারণ করার ফয়সালা দিলে প্রতিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে সালামকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় সালামের ভাই আবুল কালাম ও মা এবং দুইবোন বাধা দিলে তাদেরকেও আহত করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ও দরবারিগণ তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালামের অবস্থা বেগতিক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করলে পতিমধ্যে ঈশ্বরগঞ্জে এম্বুলেন্সেই মৃত্যু বরণ করে। লাশ ময়নাতদন্ত করে পরদিন নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সালামের ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে আব্দুল আহাদ ওরফে মঞ্জু ভূইয়া (৬০), রাসেল (২৫), আব্দুস শাহেদ ভূইয়া (৫৫), রতন ভূইয়া (৫২), আব্দুল মোতালিব (২৮), জুয়েল ভূইয়া (৩০) ও মাজেদা (৩৫) কে আসামি করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ২০, তাং: ৮/৯/১৯) দায়ের করেন। ঘটনার কিছুদিন পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেফতার করলে দীর্ঘদিন তারা হাজতবাসের পর বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ মামলার এজহার নামীয়দেরকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রতীয়মান হওয়ায় আসামীদের বিরুদ্ধে ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০২/১১৪/৩৪ দঃবিঃ ধারায় চলতি বছরের ১২ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট প্রদান করলে সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ ১নং আমলি আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শহীদুল ইসলাম মামলার প্রধান আসামি রাসেল (২৫) এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার এএস আই কাশেম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের গ্রেফতারী পরোয়ানা পাওয়ার পর থেকেই আসামি রাসেলকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।