শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর একটি অ্যাশ কালারের মাইক্রো বাস এসে কুষ্টিয়ায় পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাঙচুরকৃত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যস্থলে থামে। গাড়ি থেকে কমান্ডো স্টাইলে অস্ত্র হাতে কয়েকজন নেমে আসে। দুই জন পর পর দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয়রা দিগদ্বিগিক ছোটাছুটি শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা গাড়িতে উঠে দ্রুতবেগে পালিয়ে যায়। সেই সাথে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পাশে একটি বাঁশের সঙ্গে কালো পতাকা বাঁধা দেখা যায়।
পরে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ ঘটনা সেখানে উপস্থিত পুলিশ লাইন্সের এসআই মকছেদুর রহমান সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন। তবে তিনি তাদের আটকাতে পারেননি।
এসআই মকছেদুর বলেন, বেলা ৩টার দিকে তিনি ভাস্কর্যের সামনে পেশাগত দায়িত্বে আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে একটি নোহা গাড়ি আসে। ওই গাড়ির ভেতর থেকে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়। গাড়িটিতে কোনো নম্বর প্লেট ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বিভাগীয় পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি এ.কে.এম নাহিদুল ইসলাম। এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাতসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফাঁকা গুলি ছোড়ার বিষয়ের প্রশ্নে অতিরিক্ত ডিআইজি এ.কে.এম নাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে তারাই এই গুলির ঘটনা ঘটিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত দিয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের প্রাণে আঘাত করেছে। এদের কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের হাত ও মুখ ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। সন্ধ্যায় শহরে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে একদল দুর্বৃত্ত। এসব নিয়ে উত্তাল রয়েছে জেলার রাজনীতি।
এই ঘটনায় বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশ এর ডাক দিয়েছে জেলা আওয়ামীলীগ।