কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে ফরিদপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। রবিবার দুপুরে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় এলাকায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুল হক ভোলা মাস্টার , এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ. কে আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামীম হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি জিয়াউল হাসন মিঠু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মৌলবাদী ও জঙ্গীবাদী শক্তি বিএনপি-জামাতের বলে বলিয়ান হয়ে দেশে অপকর্ম শুরু করেছে। তারা কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরে ভাস্কর্য ভাঙ্গার মত ন্যাক্কারজনক এবং ক্ষমার অযোগ্য অপকর্ম করছে। এই অপশক্তিকে এখনই প্রতিহত করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, আইন-শৃংখলা বাহিনীকে অবিলম্বে এই অশুভ কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আইন শৃংখলা বাহিনী এ কাজে ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীনতাকামী শক্তি এদেশেকে বিএনপি-জামাতের নেতা-কর্মীদের বসবাসের আযোগ্য করে দেবে।
বক্তারা বলেন, এ সুযোগে সাম্প্রদায়িক চক্র দেশের মধ্যে হানাহানি ও ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে স্বাধীনতার চেতানা। যারা তা ভেঙ্গেছে তারা স্বাধীনতা বিরোধী। তাদের এদেশে জায়গা হবে না।
বক্তরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা স্তরে ঘাপটি মেরে আছে। এরা সুযোগ পেলেই হিংস্র ছোবল মারে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে আস্ফালন করে মহান বিজয়ের মাসে ওরা ওদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। এই অশুভ শক্তিকে রুখতে হলে আসাম্প্রদায়িক ও গনতান্ত্রিক সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি আলীপুর মোড় এলাকা থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক ঘুরে নিলটুলী স¦র্ণকারপট্টি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।