ডোপ টেস্টে রাজশাহী জেলা পুলিশের চার কনস্টেবল মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডোপ টেস্টে মাদক গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সাময়িক বরখাস্তসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের আরও ৮ জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেষ্ট সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেসব ফলাফলও ঢাকা থেকে রাজশাহীতে এসে পৌঁছাবে। এরপর মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে পরিচয় গোপন রাখার নির্দেশনা থাকায় এসব সদস্যদের বিষয়ে এর বেশি তথ্য দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রোববার (০৬ ডিসেম্বর) রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, সাতজন পুলিশ সদস্যদের আচরণে মাদকাসক্ত সন্দেহ হলে তাদের ডোপ টেষ্ট করা হয়। এরপর তাদের মধ্যে চারজনের শরীরে শনাক্ত হয়। এই চারজনই বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল।
সূত্র মতে, রাজশাহী জেলা পুলিশের আরও ৮ জনের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল রয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব টেস্টের ফলাফলও জেলা পুলিশের হাতে আসবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও কিছু সন্দেহভাজন পুলিশের ডোপ টেস্ট করা হবে। রাজশাহী পুলিশ হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে ডোপ টেস্ট কমিটি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রথমে ফলাফল ঢাকায় পুুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়ে থাকে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশকে ফলাফল জানানো হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন জানান, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনাটি রাজশাহীর প্রতিটি থানা ও ফাঁড়িসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের কাছে পাঠানো হয়েছে। মাদকাসক্ত হিসেবে যারা সন্দেহভাজন তাদের নাম গোপনে তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন থানার ওসি বা ইউনিট প্রধান অধীনস্ত কোন সন্দেহভাজনের বিষয়টি গোপন করলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, গণহারে সকলের ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র যারা সন্দেহভাজন তাদেরই করা হচ্ছে। এদের মুখ, চোখ ও ঠোঁট চোখ দেখেও অনেক সময় মাদকাসক্ত বলে সন্দেহভাজনদের প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব। ডোপ টেস্টের সময় তাদের এসব লক্ষণও দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন এসপি।