শিক্ষকদের বেতন নেই নেই কো তাদের হাসি
চারপাশেই শুনছি কেবল শিক্ষক দেয় ফাঁসি
গলায় ফাঁসি দিয়ে তাঁরা মৃত্যুবরণ করে
প্রণোদনার অর্থ দিলেই হাসবে ঘরে ঘরে
তা না হলে লোভির দেশে কষ্ট হবে সাথী
ধরবে ঘিরে দুর্নীতিবাজ-যন্ত্রণা আর রাত-ই
করোনা পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে ছাত্র-যুব-জনতার জন্য চরম সংকট। এই সংকট মোকাবেলায় আলোর পরিবর্তে তাদের সাথী হয়েছে অন্ধকার। এই অন্ধকারের কারণে নির্মমভাবে বাংলাদেশে শিক্ষা সংকট নির্মিত হয়েছে। যে সংকট নির্মমতার অন্ধকারে নামিয়ে দিচ্ছে ছাত্রসমাজকে। এই সুযোগে কোভিড-১৯ মহামারিকে সামনে রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার মধ্যেই অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা নিয়েছে অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা মেনে তারা এখন নতুন শিক্ষার্থীও ভর্তি নিচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে ফি আদায়ে নমনীয় হতে নির্দেশনা থাকলেও বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছে। অথচ ৭ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি বলেছে-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলতি সেমিস্টারের অসমাপ্ত কার্যক্রম (পাঠদান, পরীক্ষা ও মূল্যায়ন) অনলাইনেই শেষ করতে পারবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাসে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ আছে কেবল তারাই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ পাবে। এছাড়া জুনে অনলাইনে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পরের সেমিস্টারের ক্লাস-পরীক্ষাও অনলাইনে নিতে পারবে। তবে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন, টিউশন ফি, সেমিস্টার ফি ও নতুন করে ভর্তি রেজিস্ট্রেশনের ফিসহ যাবতীয় টাকা দ্রুত অনলাইনে পরিশোধ করতে তাদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়; এই সময়ের কর্মঠ নারী উদ্যেক্তা এলেনা জান্নাত ‘আমি-আপনি এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক লাইভ আলোচনা সভায় তাঁর সন্তান যে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, সেই ইউনিভার্সিটি টিউশন ফি নিয়ে চাপাচাপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এপ্রিল ও মে মাসে অনলাইনে ক্লাসের পাশাপাশি তাদের মিডটার্ম ও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেমিস্টার ফি জমা নিয়েছে মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে। এখন একই প্রক্রিয়ায় টিউশন ফি আদায়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
একইভাবে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) মেকানিক্যাল ডিপার্টেমেন্টের এক শিক্ষার্থীর সাথে আলাপকালে বলেছেন- এমন পরিস্থিতির মধ্যেও তাদের বিশ্ববিদ্যালয় সেমিস্টার ফি ও পরবর্তী সেমিস্টারের রেজিস্ট্রেশন ফি আদায় করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছে ফি আদায়ে নমনীয় থাকার নির্দেশনার মধ্যেও চাপ দেওয়ার কারণে বেশ কিছু অভিভাবক ইউজিসির কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন। এরই সূত্রতায় বলা হচ্ছে যে, ইউজিসি থেকে দুই দফায় জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচলানরা নির্দেশনা দেওয়া আছে। শিক্ষার্থীদের পারিবারিক অসচ্ছলতা ও সুবিধাবঞ্চিত বিষয় বিবেচনা নিয়ে তাদরেকে চাপ দেওয়া যাবে না মর্মে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নিতে ডিভাইস না থাকলে পরবর্তীকালে তাদের এসব ক্লাসের সুযোগ দিতে হবে। তবে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রজ্ঞাপনের শর্ত ও নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এসে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, কথা বলার সময় অ-নে-ক বড় বড় কথা বলা হয়, কিন্তু কাজের বেলায় অন্যায় আর অপরাধের রাম-রাজত্ব বানানোর চেষ্টা অব্যহত ছিলো-আছে চলমান। হয়তো তারই সুবাদে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি), নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি, ইউল্যাব, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির মতো অধিকাংশ বিশ^বিদ্যালয় থেকে কঠোরভাবে টাকা পরিশোধের চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ‘ছাড় নয়’ এই চিন্তায় অগ্রসর হওয়া বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইউল্যাব সবচেয়ে বেশি কঠোর ভূমিকা রেখেছে। এই বিশ^বিদ্যালয় থেকে ছাড় চাওয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে।
আমরা একটু পেছনে ফিরে তাকালে দেখবো- করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সংক্রমাক ব্যাধিটির বিস্তার রুখতে গত ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সাধারণ ছুটি ৬৬ দিন পর তুলে নিয়েছে সরকার। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনই খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সুযোগটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫টির মধ্যে ৮০ টির উপরে যখন করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে বরং কঠোরতর ভূমিকায় অগ্রসর হচ্ছে তখন বলতেই হচ্ছে- ‘সরকার কি করে?’ কিভাবে করোনার প্রার্দুভাবের সময়ে অনলাইন সেমিস্টার চালুর মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে টিউশন ফি আদায়ের পায়তারা করছে?
সারা বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। বাংলাদেশ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭০ জন। অঘোষিত লকডাউনের ফলে শ্রমজীবী-নিম্নআয়ের-মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষ রয়েছে চরম বিপাকে। গার্মেন্টস শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে, ত্রাণ না পেয়ে আর অনাহারে দিন কাটাতে না পেরে বিক্ষোভ করছে সাধারণ মানুষ, কৃষক পাচ্ছে না তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য, কৃষক ধান কাটতে না পেরে হতাশায় ভুগছে, পরিবারের উপার্যনক্ষম ব্যাক্তির প্রায় ২ মাস অফিস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত পরিবার। দেশে ঠিক তখন চলছে চাল আর তেল চুরির মহোৎসব। সেই মুহূর্তে মরার উপর খাড়ার ঘায়ের ন্যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে অনলাইনে টিউশন ফি পরিশোধের কথা বলছে যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অমানবিক ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বৈশিষ্ট্য।
২০১৮ সালের অর্থবছরের ইউজিসি কর্তৃক প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় হিসেবে উদ্বৃত্ত অর্থ দ্বারা সকল শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের অনায়াসে দেয়া সম্ভব। এছাড়াও তারা অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী মফস্বল শহর থেকে আসেন আর সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের অবস্থা ধীরগতি সম্পন্ন এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সমূহ অত্যাধিক উচ্চ মূল্যের বিনিময়ে যে সেবা প্রদান করে তা অতি নগন্য। এমতাবস্থায় অনলাইন ক্লাসের সুফল শিক্ষার্থীরা কতটুকু পাবে তা আমাদের সন্দিহান করে।
আমরা দেখছি যে, করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো কোনো বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকদের আংশিক বেতন দিলেও অনেক প্রতিষ্ঠানই তা দিচ্ছে না। শিক্ষকদের অভিযোগ, বন্ধের মধ্যে তাদেরকে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট অনেক কাজ করতে হলেও তাদের বেতন দেয়া হচ্ছে না। এর বিপরীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করতে না পারা ও নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু তবুও বন্ধের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও ফলাফল তৈরির কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু সংকটকালীন এ সময়ে কাজ করেও তারা বেতন না পেয়ে বেশ অর্থকষ্টে রয়েছেন। হাতেগোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মার্চ মাসের পূর্ণ বেতন পরিশোধ করেছে। এর কয়েকটি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিক্ষকদের বেতন দিয়েছে। তবে ওই সংখ্যাটা খুবই কম। বেশির ভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই শিক্ষকদের আংশিক বেতন পরিশোধ করেছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বেতন বাবদ শিক্ষকদের কোনো অর্থই পরিশোধ করেনি।
শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ না করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সর্বমোট শিক্ষক রয়েছেন ২৫০ জন। তার মধ্যে অস্থায়ী ও খ-কালীন শিক্ষক রয়েছেন ৭৩ জন। যদিও স্থায়ী ও অস্থায়ী কোনো শিক্ষকেরই মার্চ মাসের প্রাপ্য বেতন ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিশোধ করেনি। ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিরও শিক্ষকদের বেতন হয়নি। শিক্ষকদের আংশিক বেতন পরিশোধ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে শিক্ষার্থী সংখ্যায় অন্যতম বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় এক হাজার শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষক ভেদে ৩০-৪০ শতাংশ হারে কম বেতন পরিশোধ করেছে। শিক্ষকদের আংশিক বেতন দেয়া আরেক বিশ্ববিদ্যালয় হলো উত্তরা ইউনিভার্সিটি। ইউজিসির হিসাবে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক সংখ্যা ২৭৯। তার মধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে চুক্তিভিত্তিক রয়েছেন ৭২ জন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অন্য সময় মাসের প্রথম দিন বেতন পরিশোধ করা হলেও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে গত ৮ এপ্রিল। সব শিক্ষকের গড়পড়তা মাত্র ২৫ হাজার টাকা করে বেতন দিয়ে পরবর্তী সময়ে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ সংকটে রয়েছে, তারা বেতন কম দিলে একটা যুক্তি থাকত। কিন্তু আর্থিকভাবে সক্ষম অনেক বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ও শিক্ষকদের একদিকে বেতন কম দিচ্ছে, অন্যদিকে কাজের চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। শিক্ষকদের অনলাইনে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
মূলত আর্থিক সংকটের কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের কম বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষকদের বলা হয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবশ্যই তা সমন্বয় করে দেয়া হবে। আসলে সিনিয়র শিক্ষকদের অনেক টাকা বেতন। শিক্ষকদের বেতন পরিশোধ না করার বিষয়টি স্বীকার করেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তাঁর নিদের্শনাতেই চাপ প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি জমা নেয়া হয়।
যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের পূর্ণ বেতন পরিশোধ ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রিম বেতন দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে শিক্ষকদের মতো পেশাজীবীদের বেতন পরিশোধ না করাটা খুবই অমানবিক। এই অমানবিকতা থেকে মুক্তির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনাই প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে কাজে লাগতে পারে। আর তাই চাই বরাবরের মত অবিরত একজন নিবেদিত শিক্ষা-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক-সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি কমানো এবং শিক্ষকদের বেতন নিশ্চিত করতে প্রণোদনা দেয়া হোক...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি