রাজশাহীর বাগমারায় ব্লেসিং এগ্রোভিট ইন্ড্রাস্ট্রিজ কোম্পানীর ভেজাল কীটনাশ ব্যবহার করে পটলখেত নষ্ট হওয়ার অভিযোগ দেওয়ার পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই কোম্পানীর ওষুধ বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে কৃষকদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি গত ১৩ নভেম্বর ভবানীগঞ্জ বাজারের মেসার্স আকতার এন্টারপ্রাইজ থেকে তাদের পরামর্শ অনুসরে পটল খেতে ব্যবহার করা বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক কিনে নিজের ১২ কাঠ পটল খেতে প্রয়োগ করেন। এরকিছু দিন পুরোখেতের গাছ মরে যায়। এতে কৃষকের প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এই বিষয়ে কোম্পানীর প্রতিনিধি ও কীটনাশক বিক্রেতা ভবানীগঞ্জ বাজারের আক্তারুল আলমের যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্নভাবে টাল বাহানা শুরু করেন। নিরুপায়ে তিনি গত ১ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের তদন্ত করে কৃষি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওই কোম্পানীর ওষুধ ও কীটনাশক বাজারে নির্বিঘ্নে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে এলাকার চাষিদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। চাষিরা অভিযোগ করেন, কোম্পানীর কীটনাশক ব্যবহারে ভয় পাচ্ছেন। এসব ভেজাল কীটনাশ ব্যবহারে খেতের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান এর আগে জানিয়েছিলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কী ধরণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।