রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার পার্বত্য শান্তি চুক্তি ২৩ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে জুরাছড়ি জোন রনতুর্য সাত এ নৌকাবাইচ আয়োজন করে।
সকাল সাড়ে ১০ টায় কাংরাছড়ি ব্রীজ থেকে জোনের হেলিপ্যাট ঘাট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে প্রায় দুই কিলোমিটার অংশে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয়। ঢেউয়ের মধ্যে মাঝিদের সাজ আর বাদ্যের ঝংকার এবং দর্শকের করতালিতে মূখরিত হয়ে উঠে হ্রদের তীর। গতিময় নৌকার অনবরত বৈঠা চালানো দেখে মুগ্ধ শত শত মানুষ। প্রতিযোগীতায় নারী ও পুরুষ ১৫ টি দল অংশগ্রহণ করে।
পার্বত্য শান্তি চুক্তি ২৩ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে জুরাছড়ি জোন রনতুর্য সাত এ নৌকাবাইচ আয়োজন করে। রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.ইফটেকুর রহমান ভেলুন উড়িয়ে সম্প্রতির নৌকাবাইচ উদ্বোধন করেন।
রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.ইফটেকুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চুক্তি বাস্তায়নে বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে-তবে আমি নিশ্চিত সকলেই যদি উদারমনো ভাব নিয়ে এবং সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসা হয় শান্তি চুক্তি সুন্দর ও সফল ভাবে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন একটি স্বার্থনেশী মহল সাধার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এখনো পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের মহোড়া, হত্যা, অপহৃরণ, অ-বৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। অবৈধ অস্ত্রধারী স্বার্থনেশী এমন মহলকে সেনাবাহিনী কোন অবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করতে দেবেনা। লক্ষ শহীদের বিনীময়ে অর্জিত স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্ব এবং দেশের অখন্ডতা রক্ষায় সেনা বাহিনী বদ্ধ পরিকর।
প্রতিযোগীতার সময় উপস্থিত ছিলেন, জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তানভীর হোসেন, নবাগত জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান ফয়সাল, উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, জোন উপ অধিনায়ক মেজর নাজমুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ শফিউল আজম, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রহিনী কুমার চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগীতায় নারী মল্লিকা চাকমার দল প্রথম, দ্বিতীয় বিশাখা চাকমার দল, সুমিতা চাকমার দল তৃতীয় স্থান লাভ করে। একই ভাবে পুরুল প্রথম স্থান পহেল চাকমার দল, দ্বীতীয় শান্তি ময় চাকমার দল, তৃতীয় স্থান লাভ করেন বিশাল চাকমার দল।
জুরাছড়ি জোন রনতুর্য সাত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.ইফটেকুর রহমান বিজয়ীদের মধ্যে প্রাইজবন্ড তুলে দেন।