সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি ও তার কন্যা সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে ফেসবুক - ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করায় জেলা ছাত্র লীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ রাব্বীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে ডিজিটিাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শহরের সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝালকাঠি থানার ওসি মোঃ খলিলুর রহমান মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ রাব্বী তার নিজ নামের ফেসবুক আইডি ও ম্যাসেঞ্জার দিয়ে ঝালকাঠি ২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তার কন্যা সুমাইয়া হোসেন সম্পর্কে গত ৫ ডিসেম্বর রাত ১২ টা ২২ মিনিটের সময় আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করে জনসমক্ষে প্রচার করে। বিষয়টি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ ভাইসচেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী দেখতে পেয়ে বাদি এবং সাক্ষীদের জানায়। ঘটনা জানতে পেরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু সোমবার রাতে ঝালকাঠি থানায় এজাহার দায়ের করেন। থানা কতৃপক্ষ এজাহারখানা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৬,২৯,৩১ ও ৩৫ ধারায় এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করেন। মামলা রেকর্ডের কিছুক্ষন পর রোববার রাত নয়টার দিকে সাধনার মোড় থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই হযরত আলী সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুর ১২ টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে শেখ রাব্বীকে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিকাল তিনটায় শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ.এইচ.এম ইমরানুর রহমান মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করে রাব্বীকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। শেখ রাব্বী ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ লিয়াকত আলী তালুকদারের দুস্পর্কের নাতী। শেখ রাব্বীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেহ তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুক আইডি খুলে তাকে বিপদে ফেলেছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।