রাজশাহীর তানোরে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৫) কে জোর করে তুলে নিয়ে ঘরে বন্ধী রেখে বিয়ের চেষ্টার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলা মিথ্যে দাবি করে ইউএনও’র কাছে সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেছেন নারী নির্যাতন মামলার আসামীর বাবা ইনসান আলী। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার একটি গ্রামের জৈনক ব্যাক্তির মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী (১৫) গত (১৯নভেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে তানোর উপজেলার যশপুর গ্রামের ইনসান আলীর বাড়িতে গিয়ে তার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২)’র খোঁজ করে বিয়ে করতে চাই। এ সময় গ্রামের লোকজনসহ ওই ছাত্রীর বাবা মাকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজনসহ ওই ছাত্রীকে তার বাবা মা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ঘটনার ১৫দিন পর (৩ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ইনসান আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (২২) ও তার মামাতো ভাইয়ের স্ত্রী হাসিনা বিবি (৩৮) কে আসামি করে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী ২০০৩এর ৭/৩০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি মিথ্যে ও বানোয়াট ভিত্তিহীন ও উদ্যোশ্য প্রনোদিত দাবি করে সৃষ্ঠ তদন্ত করে ওই ছাত্রীর পিতার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য নারী নির্যাতন মামলার আসামীর বাবা ইনসান আলী বাদি হয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ওই ছাত্রীর পিতা বলেন, দায়ের করা মামলাটি সত্য, আসামিরা বাচার জন্য নতুন নাটক সাজাচ্ছেন। সৃষ্ট তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনিও দাবি জানিয়েছেন।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতোর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি আমি পাইনি পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া।