ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ১১ ঘন্টার মতো ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এতে উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে কয়েকশ যানবাহন। দুর্ভোগে পড়েন যানবাহনের অসংখ্য যাত্রী ও চালকেরা।
দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, ঘাটে ফেরি নোঙর করে আছে। মহাসড়কে প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত গাড়ির সিরিয়াল। সিরিয়ালে দুইটি লাইন তৈরী হয়েছে। এতে আগের দিন আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহি নৈশ কোচ, পচনশীল দ্রব্যের পন্যবাহি গাড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি রয়েছে। খুলনা থেকে আসা অসুস্থ এক শিশুর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ফেরিঘাটে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় মারা যান বলে আটকে থাকা যাত্রীরা জানায়।
সাকিব নামের এক যাত্রী বলেন, সোমবার রাত ১টার দিকে ঘাটে যানজটে আটকা পড়ি। পরে জানতে পারি কুয়াশায় ফেরি বন্ধ রয়েছে। বেলা ১০টার দিকে ফেরি ছাড়লে যানজটে আটকে থাকা বাস ফেলে ফেরিতে এসে উঠে পড়েছি। ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোন্নাফ মোল্লা বলেন, ফেরিঘাটে আটকে যাত্রীদের দুর্ভোগ নিশ্চিত করতে এবং কেউ যাতে ট্রলারে নদী পাড়ি দিতে না পেরে এ কাজে নৌপুলিশ সর্বদা ব্যস্ত ছিল। এ ছাড়া দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকায় একটি অসুস্থ শিশু বাচ্চা মারা যাওয়ার বিষয় আমার জানা নেই।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকলে ফেরি চালকরা সামনের কিছু দেখতে না পেয়ে রাত ১১টার আগে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন। ১১ ঘন্টা পর মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে কুয়াশা কম দেখে কর্তৃপক্ষ ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এর আগে পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে ১১টি ফেরি দৌলতদিয়া ঘাটের কাছে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। ফেরি বন্ধের কারণে উভয় ঘাটে মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার করে যানজট তৈরী হয়। এতে দুর্ভোগের কবলে পড়েন যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণ।