অবিশ্বাস্য, বিস্ময়কর এক ওভার করলেন কামরুল ইসলাম। মিরপুরে রাজশাহীর ছক্কা বৃষ্টির ম্যাচে ইনিংসের শেষ ওভারে নিজের কারিশমা দেখালেন বরিশালের এই পেসার। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে দেখা পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের। হ্যাটট্রিক করার মিশনে তিনি সাজঘরে ফিরিয়েছেন নুরুল হাসান, নাজমুল হোসেন ও ফরহাদ রেজাকে। অথচ মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটসম্যানদের তোপের মুখে পড়েছিলেন বরিশালের বোলাররা। নাজমুল-আনিসুলের ব্যাটে তারা ছিলেন অসহায়। এমন একটি ম্যাচের শেষ ওভারেই কিনা চমক দেখালেন জাতীয় দলের পেসার কামরুল ইসলাম। ২০তম ওভারের প্রথম বলেই নুরুলকে ফেরান তিনি। লংঅফে সাইফ হাসানের হাতে তালুবন্দী হন উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান। পরের বলে ফিরিয়েছেন সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেনকে। কাভারে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক। এর পরেই নাজমুলের হ্যাটট্রিক শিকার ফরহাদ রেজা। নুরুল হাসানের মতো লংঅফে খেলতে গিয়েছিলেন ফরহাদ। সেখানে দাঁড়ানো সাইফ হাসানকে ফাঁকি দিতে পারেনি তিনি। ফলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে এই অলরাউন্ডারকে। ফরহাদের উইকেট তুলে নিতেই বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কামরুল। বিপিএলে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন আল আমিন হোসেন। ২০১৩ সালে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকটি পূরণ করেছিলেন তিনি। পরের হ্যাটট্রিকটিও ছিল তার দখলে। ২০১৫ বিপিএলে বরিশাল বুলসের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। বাংলাদেশি বোলারদের ক্ষেত্রে দুইবার হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব আছে কেবল আল আমিন হোসেনেরই। বাংলাদেশিদের হয়ে তার পরের হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন আলিস ইসলাম। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলা এই স্পিনার ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন। এরপর তৃতীয়বারের মতো কীর্তি গড়েন মানিক খান। ২০১৯ সালে প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে মানিক খান এই হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন কামরুল ইসলাম।