বাংলাদেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করে দেশের স্বাধীনতার বেদীতে আঘাত করতে একটি মহল ভাস্কর্যের ইস্যু তৈরীর অপচেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি।
তিনি বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটির আসামবস্তি এলাকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।
এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু চাকমা, রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইফতেকুর রহমান পিএসসি, রাঙ্গামাটি ডিজিএফআই কমান্ডার কর্নেল জিএস ইমরান ইবনে রউফ, রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুন মিয়াসহ অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার আগে ও পরে যেভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ঠিক সে ভাবে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য নতুন ইস্যু খোঁজা হচ্ছে আর স্বাধীনতা বিরোধীদের শক্তি যোগানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ইসলামের নামে ইসলাম রক্ষা করার নামে লক্ষ লক্ষ মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে। তারাই যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করতে চেয়েছিলো। স্বাধীনতার পরে তারা নানা ভাবে অপপ্রচারও চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেটা চাই তা হলো এই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর, কালকে উত্তরা গণভবনে সামনে ভাস্কর ভেঙ্গে ফেলবে এবং একসময় দেখা যাবে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য ভাঙ্গাও মুর্তি ভাঙ্গাও এই ধরনের ঢেউ যদি সৃস্টি করতে পারে তা হলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান করতে পারবে না। কিন্তু ইসলামতো পূর্ত্তলিকতা চর্চা না করতে বলেছে। কিন্তু যারা পূর্ত্তলিক তাদেরকে নিধন করতে হবে নিশ্চিহ্ন করতে হবে এ কথা তো বলে নাই। ইসলাম ধর্ম বলেছে যার যার ধর্ম তার তার কাছে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু আজকে তারা নতুন করে ভাস্কর্যকে নিয়ে ধাক্কা দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র আমলে অনেক জায়গার জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ছিলো। কিন্তু তখন বিএনপি’র আমলে জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার কোন আন্দোলন উঠে নাই। কিন্তু এখন কেন ভাস্কর্য ভাঙ্গার কথা উঠেছে। কারণ হচ্ছে সারা বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির করার জন্য তাদের এই নতুন ইস্যু।